বিপিএলে ঢাকা পর্বে কেমন করল দলগুলো
দেখতে দেখতেই বিপিএলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের ম্যাচগুলো শেষ হয়েছে। মোট ১৪ টি ম্যাচ হয়েছে এই পর্বে। সর্বাধিক পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। আর সবচেয়ে কম ৩টি ম্যাচ খেলেছে সিলেট সিক্সার্স। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কেমন হলো সাতটি দলের পারফরম্যান্স।
ঢাকা ডায়নামাইটস : এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টে চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয়লাভ করে নিজেদের টপ ফেভারিট সাব্যস্ত করেছে শক্তিশালী ঢাকা ডায়নামাইটস। একমাত্র রংপুর রাইডার্স তৃতীয় ম্যাচে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিল ঢাকার বিরুদ্ধে। অন্য দলগুলোর বিপক্ষে রীতিমতো হেসেখেলে জিতেছে সাকিব আল হাসানের দল। বিদেশি খেলোয়াড়দের পাশাপাশি রনি তালুকদার আর আলিস ইসলামের মতো দেশি খেলোয়াড়রাও ভালো পারফর্ম করছেন ঢাকার হয়ে।
চিটাগং ভাইকিংস : চিটাগংয়ের খেলা চারটি ম্যাচের প্রতিটিই শেষ ওভারে গিয়ে রফা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি খেলায় জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ঢাকার পরেই আছে ভাইকিংসরা। খুলনার বিপক্ষে সুপার ওভারে আর কুমিল্লার বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর এখন চিটাগং শিবির। দক্ষিণ আফ্রিকার রবি ফ্রাইলিংকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি অধিনায়ক মুশফিক অসাধারণ খেলছেন দলটির হয়ে।
রংপুর রাইডার্স : দুটি জয় পেলেও পাঁচ ম্যাচের তিনটি হেরেছে মাশরাফির দল রংপুর। এরমধ্যে শেষ দুই ম্যাচে ঢাকা ও রাজশাহীর বিপক্ষে জেতার মতো অবস্থা থেকে হেরেছে রাইডাররা। রংপুর দলের রাইলি রুশো টুর্নামেন্টের রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে থাকলেও ক্রিস গেইল ও অন্যদের এখনো ছন্দে না আসা ভাবাচ্ছে তাদের। তবে বল হাতে সেরা ফর্মে আছেন মাশরাফি। আর দলটির অধিনায়ক তিনি বলেই পরের পর্বগুলোতে চমকের আশায় থাকবেন সমর্থকরা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস : চারটি ম্যাচে দুটি জয় পাওয়া কুমিল্লার জন্য দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের বিপিএল শেষ হয়ে যাওয়া। জাতীয় দলের খেলা থাকায় পাকিস্তানের শোয়েব মালিকও ফিরে যাবেন। কিন্তু থিসারা পেরেরা প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছেন। আর অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদিও ভালো খেলছেন। তবে পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা দলটির বড় চিন্তা তামিমসহ দেশি খেলোয়াড়দের অফ-ফর্ম।
রাজশাহী কিংস : সাদামাটা এক দল গড়ে ভালোই করছে রাজশাহী কিংস। চার খেলায় দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে আছে তারা। মেহেদী হাসান মিরাজের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব আর কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের ক্ষুরধার বোলিং আগামী ম্যাচগুলোতেও দলটির বড় আশা হয়ে থাকবে।
সিলেট সিক্সার্স : তিন খেলায় এক জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ছয়ে আছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। প্রথম পর্বে কিছুটা সমন্বয়হীন মনে হয়েছে কোচ ওয়াকার ইউনুসের শিষ্যদের। কিন্তু পরের পর্বে সিলেট খেলবে নিজেদের ভেন্যুতে। তাই নতুন শুরুর প্রত্যাশা করতেই পারেন তাসকিনরা।
খুলনা টাইটানস : আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হতাশার নাম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস। চার ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হেরেছে তারা। নিশ্চিত জয়ের ম্যাচও মুঠো থেকে বেরিয়ে গেছে তাদের। টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে ভুলত্রুটিগুলো দ্রুত শুধরে উঠতে হবে সবার নিচে থাকা মাহেলা জয়াবর্ধনের দলকে।