বিপিএলের যে ত্রুটিগুলো আলোচনায়
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবেচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সাফল্যের সাথে আগের পাঁচটি আসর আয়োজন করলেও ষষ্ঠ আসরে বিতর্ক আর সমালোচনা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। গ্যালারিতে দর্শক নেই, ড্রয়িংরুম কিংবা চায়ের দোকানের টেলিভিশন সেটের সামনেও আগের মতো ভিড় চোখে পড়ছে না এবার। মাঠের লড়াইটাও হচ্ছে একেবারেই ম্যাড়ম্যাড়ে। এতসব নেতিবাচক খবর, হতাশা আর বিতর্কের পেছনে মূল কারণ আয়োজকদের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি।
বিপিএলের মতো এতবড় একটা আসর শুরু হয়েছে, অথচ কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলো না। আসর শুরুর আগে স্নিকোমিটার আর আলট্রা এজ সমৃদ্ধ ডিআরএস, এলইডি স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ার কথা বললেও বাস্তবে দেখা মেলেনি এগুলোর কিছুই। নেই ম্যাচশেষে আতশবাজির ব্যবস্থাও।
তা ছাড়া ধারাভাষ্য প্যানেলে আন্তর্জাতিক মানের ভাষ্যকার নেই। স্বল্প পরিচিত যারা আছেন তাঁদের অনেকেই খেলোয়াড়দের নামে ভুল করছেন।
আসরের প্রথম ম্যাচে চিটাগংয়ের ২৬ বছর বয়সী পেসার খালেদ আহমেদের বয়স দেখানো হলো ১১৯! রাজশাহীর বিপক্ষে রংপুর রাইডার্স ম্যাচে নিজেদের শেষ ওভারের প্রথম বলে এক রান নিলেও স্কোর ১২৬ থেকে ১২৮ করে দেওয়া হলো!
তবে অন্তত বিনোদনের আশায় দর্শকরা ছুটে যেত মাঠে। কিন্তু এবারের আয়োজনের মতো বেহাল দশা চলতে থাকলে আগামী দিনে দর্শকসংখ্যা আরো কমতে বাধ্য।
বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস এ ব্যাপারে বলেন, ‘পরিস্থিতির উত্তরণের জন্য চেষ্টা চলছে।আল্ট্রা মোশন দিয়ে শুরু করা হয়েছিল, এটার চেয়ে আল্ট্রা এজ টেকনোলজি ভালো, সেটা ইংল্যান্ড থেকে আসছে, আমরা আশা করছি দুই-তিনদিনের মধ্যে সেটা চলে আসবে।’