কেমন হলো ডি ভিলিয়ার্সের বিপিএল অভিষেক?
বিশ্ব ক্রিকেটের মহাতারকাদের একজন তিনি, তাঁকে নিয়ে তাই তুমুল আগ্রহ ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। কবে আসবেন, কবে প্রথম মাঠে নামবেন, কেমন জাদু দেখাবেন ইত্যাদি জল্পনা-কল্পনার অন্ত ছিল না। অবশেষে গতকাল বিপিএলে প্রথম মাঠে নামলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। রংপুর রাইডার্সের হয়ে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই বিপিএল অভিষেক হয়েছে তাঁর। ম্যাচে অতিমানবীয় কিছু করতে না পারলেও দলের দারুণ জয়ে কার্যকর অবদান রেখেছেন এই তারকা।
প্রথমে ব্যাট করে ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই দাঁড় করায় সিলেট। ডি ভিলিয়ার্স যখন নামেন, ততক্ষণে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে রংপুর। একপর্যায়ে ৫৪ বল থেকে ৯৩ রান প্রয়োজন পড়ে রাইডারদের। শুরুতে একটু রয়েসয়ে খেললেও পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে সামান্য সময়ই নেন ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। তবে ২১ বল খেলে ৩৪ রান করে তাসকিনের দ্রুতগতির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ততক্ষণে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রাইলি রুশোর সঙ্গে ৩৯ বলে ৬৭ রানের জুটিতে দলের জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে। তাসকিনের করা একই ওভারে এর আগে রুশোও ফিরে গেছেন। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে ফরহাদ রেজার ছোট একটা ‘ক্যামিও’ ইনিংস রংপুরের জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ শেষ করে আসতে না পারায় কিছুটা আক্ষেপ আছে ডি ভিলিয়ার্সের। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলাম, বলও দেখছিলাম পরিষ্কার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারিনি।’
দলের এমন জয়ে বেশ সন্তুষ্ট এই ব্যাটিং জিনিয়াস বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট খেলে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করায় উইকেটে মানিয়ে নিয়েছিলাম সহজেই। কিন্তু পিচে পড়ে আচমকা স্কিড করা বলটা চমকে দেওয়ায় বোল্ড হয়ে গেলাম। ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারলে আরো ভালো লাগত আমার। তবে সবকিছু মিলিয়ে দলের এই জয়টা ছিল দুর্দান্ত।’
ডি ভিলিয়ার্সের অভিষেকের ম্যাচে দুঃসময় পেছনে ফেলে দারুণ জয় পেয়েছে মাশরাফির দল। তাই আগামী ম্যাচগুলোতেও এই তারকার ছন্দে থাকার প্রত্যাশাতেই থাকবেন রংপুর রাইডার্স সমর্থকরা।