মুশফিকের চিটাগংয়ের আরেকটি হতাশার হার
হারটা যেন পিছু ছাড়ছে না চিটাগং ভাইকিংসের। নিজেদের মাঠে আগের দুই ম্যাচে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নেমে গেছে তারা। আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও হেরে বসেছে তারা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তারা গড়ে ছোট সংগ্রহ। আর এই সংগ্রহ টপকাতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি তামিম ইকবালের কুমিল্লার।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে কুমিল্লা জিতেছে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে। চিটাগংয়ের করা ১১৬ রানের জবাবে তারা তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান শুভ দুটি দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। বিশেষ করে তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫১ বলে ৫৪ রান করেন। আর শুভ করেন ৩৬ রান।
এর আগে বৃষ্টির কারণে এক ওভার কমে ১৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ছোট লক্ষ্য গড়ে মুশফিকুর রহিমের দল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া ভাইকিংসদের কাঁপিয়ে দেন পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ফর্মে থাকা ইয়াসির আলি উভয়কেই শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন ওই ওভারে। দলীয় ১৭ রানে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (৬) আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান ওয়াহাব রিয়াজের বলে কট বিহাইন্ড হলে বড় ধাক্কা খায় চিটাগং। এরপর থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা। কুমিল্লার পেস আর স্পিন বোলারদের দুর্দান্ত আক্রমণে দিশেহারা ব্যাটসম্যানরা উল্লেখ করার মতো কোনো জুটিই গড়তে পারেননি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। শেষ দিকে ২৫ বলে ৪৩ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এ ছাড়া ৩৩ রান করেন আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। নাজিবুল্লাহ জাদরান (১৩) ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। কুমিল্লার হয়ে শহীদ আফ্রিদি চার ওভারে ১০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও ওয়াহাব রিয়াজও দুটি করে উইকেট নেন।
এবারের আসরে দুটি দলের প্রথম মোকাবিলায় মুশফিকের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার করা ১৮৫ রান টপকে চার উইকেটে জয় পেয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস।
এই জয়ে কুমিল্লা ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উঠে যায়। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়ে গেছে চিটাগং।