কেন মাশরাফিদের বিদায়?

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পরাজিত হয়ে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচশেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাখ্যা করেছেন, কেন এই পরাজয় আর টুর্নামেন্ট থেকে তাঁদের বিদায়।
পরাজয়ের কারণ হিসেবে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের যথাযথ কম্বিনেশন এবং দলে ভারসাম্যের অভাবকেই দায়ী করেছেন মাশরাফি। ব্যালান্সড দলের উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কথা। কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপে সাত ও আট নম্বরে আফ্রিদি কিংবা থিসারা পেরেরার মতো ক্রিকেটার খেলেন। অথচ এই পজিশনে রংপুর দলে কোনো আদর্শ পিঞ্চ হিটার ছিল না। এটা মাথায় রেখে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমাদের দলে ব্যালান্সের অভাব ছিল শুরু থেকেই। আগের বছরও ছিল। সোহাগ গাজী আর জিয়াকে দিয়ে ওপেন করিয়েছিলাম, আমি তিনে খেলেছি। একই সমস্যা এবারও হয়েছে। কুমিল্লায় দেখুন আফ্রিদি, থিসারা সাতে-আটে নামছে; কিন্তু আমাদের সে সুযোগ নেই। আমাদের সাত আর আটে এবার আমি ও ফরহাদ রেজা খেলেছি। এটা বড় একটা সমস্যা ছিল। যতক্ষণ এবি, হেলস ছিল ততক্ষণ আমরা টপঅর্ডার দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেছি। কিন্তু ওরা চলে যাওয়ার পর সমস্যা হয়েছে।'
ভালো মানের একজন বিদেশি অলরাউন্ডারের অভাবটাও বেশ ভুগিয়েছে মাশরাফিদের। ভালো একজন অলরাউন্ডার থাকলে বোলিং ও ব্যাটিং উভয় দিক থেকেই কিছুটা নির্ভার থাকা সম্ভব হতো, বিশ্বাস তাঁর। বিদেশি অলরাউন্ডারের আক্ষেপে পুড়ে রাইডার দলপতি বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে তো আমরা মেহেদী মারুফকে সাত-আট ম্যাচে সুযোগ দিয়েছি। মিথুনকে আমরা পাঁচে বা তিনে খেলিয়েছি। সব সময় কিন্তু ও পারফর্ম করেছে। এবি আসার পর পাঁচে গেছে। আমাদের যদি বিদেশি একজন অলরাউন্ডার থাকত, তাহলে সবচেয়ে সুবিধা হতো। যেমন ধরুন ব্রাভো বা রাসেল। ওদের মানের বিদেশি ক্রিকেটারের বোলিং আর ব্যাটিং দুটোই টপ কোয়ালিটির।’
দলের স্পিন বিভাগ নিয়েও অসন্তোষ আছে মাশরাফির। স্পিনাররা দলকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে পারেননি জানিয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘আমরা মোটামুটি পেস বোলিং অ্যাটাকটা নিয়েই এতদূর এগিয়েছি। আমাদের স্পিন বিভাগ সেরা সাফল্য এনে দিতে পারেনি। অন্য দলের স্পিনাররা এ ধরনের উইকেটে অনেক কিছু করেছে, কিন্তু আমাদের তেমনটা হয়নি। এখানেও আমাদের ঘাটতি ছিল।'