সাকিবকে পেছনে ফেলে বিপিএলে টুর্নামেন্ট সেরা তামিম
কে হবেন এবারের বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়? ফাইনালের আগেও আসরসেরার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে, ফাইনালেই সবকিছু বদলে দেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলকে শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি খেলেন ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস। আর তাতেই সাকিবকে পেছনে ফেলেন আসরসেরা খেলোয়াড়ে তকমা পেলেন তিনি।
আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক; বিপিএল শুরুর আগে তামিম ইকবালের অবস্থা ছিল এমনই। দেশসেরা ওপেনার বিপিএল দিয়ে দীর্ঘ সময় পর ফিরেছেন মাঠের ক্রিকেটে। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক ফিরেই প্রমাণ করলেন কেন তিনি সেরা! দলকে শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকেই। ১৫ ম্যাচে ১২৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৯২ রান করেছেন তিনি। ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস আছে তিনটি। ব্যাট হাতে ৩৭.৮৪ গড়ই প্রমাণ দেয়, কতটা ধারাবাহিক ছিলেন তামিম। তবে, আসরসেরা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তামিমের অধিনায়কত্ব। তার নেতৃত্বে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল বরিশাল।
অন্যদিকে, চোখের সমস্যা, রাজনৈতিক ব্যস্ততা কিংবা বিশ্বকাপ বিতর্ককে সঙ্গী করে খেলতে নামেন বিপিএলের দশম আসরে। এত কিছুর পর আসর শেষে সাকিব ছিলেন সেরাদের কাতারে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ব্যাট-বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। রংপুরকে ফাইনালে না তুলতে পারলেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।
রংপুরের হয়ে সদ্য শেষ হওয়া আসরে সাকিব খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। ব্যাট হাতে সংগ্রহ করেছেন ২৫৫ রান। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। সে ম্যাচে ৩১ বলে করা ৬৯ রান এবারের আসরে সাকিবের সর্বোচ্চ। সবমিলিয়ে হাফসেঞ্চুরি করেছেন দুটি। ১৩ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ব্যাট করে সাকিব ২৫৫ রান তুলেছেন ১৫৮.৩৯ স্ট্রাইক রেটে। যদিও গড় অনেকটাই কম, ২৩.১৮।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও সাকিব আগুন ঝরিয়েছেন পিচে। ব্যাটারদের নীল করেছেন স্পিন বিষে। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি আছেন দুই নম্বরে। ১৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। গড় ১৭.৭৬, ইকোনমি রেট মাত্র ৬.৩১। ১৬ রানে তিন উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার।