আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা-হায়দরাবাদ মহারণ আজ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/25/final.jpg)
ধ্রুপদী লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত। প্রস্তুত দুই প্রতিপক্ষও। একদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স, অন্যদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মঞ্চটা যদি হয় ফাইনালের, তবে রোমাঞ্চটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কলকাতার তৃতীয় না কি হায়দরাবাদের দ্বিতীয়? কে হাসবে শেষ হাসি। চেন্নাইয়ে কামিন্স-আইয়ারদের ব্যাটে-বলের জমজমাট লড়াই দেখতে মুখিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
পরিসংখ্যানে হায়দরাবাদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে কলকাতা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হায়দরাবাদকে হারিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল শাহরুখ খানের দল। এছাড়াও আইপিএলে এখন পর্যন্ত ২৭ বারের দেখায় ১৮টিতে কলকাতা আর ৯টিতে হায়দরাবাদ জয় পেয়েছে।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেললেও দুইবারই শিরোপা জিততে পেরেছে কলকাতা। ২০১২ ও ২০১৪ মৌসুমে। দুবারই শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে একবারই শিরোপা জেতে হায়দরাবাদ। সেই দলটির সদস্য ছিলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
ফাইনালে গুরবাজ-আইয়ারদের মতো ব্যাটাররা হায়দরাবাদের জন্য বেশ দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন। পাশাপাশি কলকাতার বোলিং আক্রমণ দারুণ। মিচেল স্টার্ক-নারিনরা ছন্দে থাকলে নিশ্চিতভাবে বিপাকে পড়তে হবে হায়দরাবাদের ব্যাটারদের। প্রথম কোয়ালিফায়ারে যার প্রমাণ মিলেছে। একাই তিন উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের ব্যাটিং ইউনিটকে ধসিয়ে দেন স্টার্ক।
এবারের আইপিএলে কলকাতার জন্য বড় প্রাপ্তি অলরাউন্ডার সুনীল নারিনের দারুন ছন্দ। ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৮২ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ফাইনালেও তাই তার দিকেই চেয়ে থাকবে দল। চতুর্থবারের মতো ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার। ফাইনালে মোট ৩২ জন ভারতীয় ক্রিকেটার থাকলেও নেই বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের কেউ। কলকাতার রিঙ্কু সিংহ থাকলেও তিনি বিশ্বকাপে ভারতের মূল দলে নেই।
অন্যদিকে, হায়দরাবাদের অন্যতম শক্তির জায়গা তাদের ব্যাটিং ইউনিট। চলতি আইপিএলে বেশকবার আড়াইশ রানের গণ্ডি পেরিয়েছে দলটি। স্কোরবোর্ডে তুলেছে রেকর্ড ২৮৭ রান। যা আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দুই টপঅর্ডার ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন ও ট্রাভিস হেডের ব্যাট হাসলে ফাইনাল হতে পারে পুরোপুরি একপেশে। চলতি আইপিএলের পরিসংখ্যান তেমনটাই বলে।
বোলিং আক্রমণেও খুব একটা পিছিয়ে নেই হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্স, ভুবেনেশ্বর কুমারদের মতো অভিজ্ঞরা কলকাতার ব্যাটারদের ভোগাতে পারেন। তবে, সব ছাপিয়ে আলোচনায় চিদাম্বারামের উইকেট। এখন পর্যন্ত এই মাঠে খেলা ৮৪ ম্যাচের মধ্যে আগে ব্যাট করা দলই জিতেছে ৪৮টি। পরে ব্যাট করা দল জিতেছে ৩৫টি। তাই টস বড় একটা ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে এই ম্যাচে। যদিও আইপিএলে শেষ ১০ ম্যাচে পরে ব্যাট করা দলই এখানে বেশি ম্যাচ জিতেছে।
কে হাসবে শেষ হাসি? সেই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। চেন্নাইয়ে সরাসরি ম্যাচটি দেখতে মাঠে থাকবেন ৫০ হাজার দর্শক। এর বাইরেও কোটি চোখ থাকবে জমজমাট এক ক্রিকেট ম্যাচ দেখার প্রত্যাশায়। খেলা শুরু রাত ৮ টায়।