এমবাপ্পের গোলেও জয়হীন ফ্রান্স, ইংল্যান্ডকে রুখে শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়া
এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খুব একটা ছন্দে নেই ফ্রান্স। আগের দুই ম্যাচে কোনো গোলই করতে পারেনি ফ্রান্স। তাই বেশ চাপে থেকেই পোল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দল। কোনমতে ম্যাচ ড্র করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ফরাসিরা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে ডর্টমুন্ডের বিভিবি স্টেডিয়ামে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে দুদল। প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে খেলেছে এমবাপ্পের ফ্রান্স। পোল্যান্ডের অর্ধে তারা চাপ তৈরি করেছিল। সুযোগ পেয়ে আক্রমণ করেছে পোল্যান্ড। তবে গোল করতে পারেনি কোনো দল।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক মাইগনানের পরীক্ষা নেয় পোল্যান্ড। তাদের আক্রমণ সালিবা ব্লক করলেও বক্সের বাইরে থেকে জেলিনস্কির ফিরতি শট রুখে দেন তিনি। ম্যাচে ফ্রান্স প্রথম সুযোগ তৈরি করে ১১তম মিনিটে। দেম্বেলের ক্রসে পোলিশ রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে থিওর কাছে যায়। বাঁ দিক থেকে তার শট স্কোরুপস্কি সেভ করেন। তিন মিনিট পর কর্নার থেকে পোল্যান্ড দ্বিতীয় সুযোগ পায়। আরবানস্কির বাঁ পায়ের শট ঠেকান মাইগনান।
৩৭ মিনিটে দেম্বেলে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পাস দেন কাঁতেকে। একেবারে গোলমুখের সামনে তিনি বল তুলে দেন শুয়োমেনিকে। তার শট পোলিশ খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে কর্নার হয়। বিরতির পর ফিরেই এমবাপ্পের লক্ষ্যে শট একটুর জন্য দূরের পোস্টের পাশ দিয়ে মাঠের বাইরে যায়। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে পোল্যান্ডের বক্সে ফাউলের শিকার হন দেম্বেলে। এমবাপ্পের শটের বিপরীতে ঝাঁপান স্কোরুপস্কি। তবে, এমবাপ্পের শট ঠেকাতে পারেননি। ফ্রান্সের অধিনায়ক ইউরোতে পান প্রথম গোলের দেখা।
অবশ্য বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি ফ্রান্স। ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে তাদের খেলোয়াড় উপামেকানো ফাউল করেন সুইডারস্কিকে। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন পোল্যান্ডকে। লেভানডোভস্কি শট নেন। মাইগনান ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বল ঠেকান। কিন্তু লেভানডোভস্কি শট নেওয়ার আগেই গোললাইন ছেড়ে তিনি বেরিয়ে আসায় আবার সুযোগ পায় পোল্যান্ড। এবার নিচু কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান লেভানডোভস্কি।
‘ডি’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের খেলায় ফ্রান্স তিন ম্যাচ খেলে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে। অস্ট্রিয়া নেদারল্যান্ডসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। হারলেও ম্যাচে নামার আগেই ডাচরা শেষ ষোলোতে জায়গা নিশ্চিত হওয়ার খবর জেনে যায়। সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে নকআউটে নেদারল্যান্ডস। তাদের পয়েন্ট চার।
একই সময়ে শুরু আরেক ম্যাচে সার্বিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে ডেনমার্ক। তাদের সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে, সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে পরের ধাপে উঠল স্লোভেনিয়া। ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে বিদায় নিল সার্বিয়া।