ফ্রান্স-পর্তুগাল ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে
প্রথমার্ধের ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা আড়মোড়া ভেঙে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে। আক্রমণাত্মক ফুটবল প্রদর্শনীতে দর্শকদের উৎকন্ঠায় রেখেছে দুদলই। তবে, গোল ছাড়া সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ফ্রান্স সুযোগ পেয়েছে কমপক্ষে গোটা চারেক। কখনওকলু মুয়ানি মিস করেছেন ওয়ান টু ওয়ানে, কখনও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে কামাভিঙ্গার শট। উসমান ডেম্বেলের একটি শট বার পোস্ট ঘেঁষে যাওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় পর্তুগাল।
পর্তুগালও কয়েকটি আক্রমণ করেছিল। ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট কিংবা ফিরতি বলে রোনালদোর ব্যাক হিল– কাজে আসেনি কিছুই। শেষ পর্যন্ত ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচের ফল গোলশূন্য। খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচে লড়াইটা যতখানি ফ্রান্স-পর্তুগালের, তারচেয়ে কোনো অংশে কম নয় রোনালদোর জন্য। ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল, নকআউটে হারলেই বাদ। জিতলে হাতছানি সেমি ফাইনালের। সেসব ছাপিয়ে, সবার চোখ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোয় আটকে আছে। ইউরোয় নিজের সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ খেলছেন তিনি। পর্তুগাল হারলেই সমাপ্তি ঘটবে রোনালদো অধ্যায়ের।
এমন ম্যাচে জার্মানির হামবুর্গের ভক্সপার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ কেটেছে গোলশূন্য। ইউরোপের দুই পাওয়ার হাউজ ফুটবল দল প্রথম ৪৫ মিনিটে বলার মতো কোনো আক্রমণও তৈরি করতে পারেনি সেভাবে।
শুরু থেকেই অবশ্য চেষ্টা ছিল দুদলের। তবে, বল দখলের লড়াইয়ে রাখতে গিয়ে ঠিকভাবে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি কেউ। পর্তুগালের দিক থেকে বলার মতো এতটিই আক্রমণ ছিল পুরো প্রথমার্ধে। ১৫ মিনিটের ব্রুনো ফার্নান্দেজের নেওয়া শটটি কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচায় ফরাসি রক্ষণভাগ। অন্যদিকে, কিলিয়ান এমবাপ্পে তার গতি দিয়ে পর্তুগিজ রক্ষণকে ছিটকে দিয়েছে একাধিকবার, পায়নি শেষ পরিণতি।
প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। ব্যবধান ৫৬-৪৪ শতাংশ। আক্রমণে কেউই ভালো করেনি। সেলেকসাওরা যেখানে আক্রমণ করেছে মোটে দুটি, ব্লুরা করেছে তিনটি। বেশ ছন্নছাড়াই মনে হয়েছে দল দুটিকে। আক্রমণভাগে যা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। প্রথমার্ধে রোনালদো ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই।