৫৬৫ রানে থামল বাংলাদেশ, লিড ১১৭
মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শক্ত পুঁজি গেছে বাংলাদেশ। তিনি ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরার পর বাংলাদেশ পেয়েছে পাঁচশ ছাড়ানো সংগ্রহ। যে সংগ্রহ নিয়ে প্রথম ইনিংসে থেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থদিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস ও মুমিনুল হকের ফিফটিতে বাংলাদেশ লিড পেয়েছে ১১৭ রানের। এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৪৮ রানে থামে পাকিস্তান।
আজ শনিবার মুশফিকুর রহিম আউট হওয়ার পর ৩৭ রান যোগ করতে পারল বাংলাদেশ। এর বেশিরভাগ করলেন শরিফুল। দুটি করে ছক্কা ও চারে তার রান ১৪ বলে ২২।
অন্যদিকে বল হাতে ৩টি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফলতম বোলার নাসিম শাহ। দুটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আলি ও খুররম শাহজাদ।
মুশফিকের বিদায়, পাঁচশ ছাড়িয়ে ছুটছে বাংলাদেশ
মাত্র ৯ রানের আক্ষেপে পুড়তে হলো মুশফিককে। ৩৪১ বল খেলে মুশফিককে থামতে হয়েছে ১৯১ রানে। সুযোগ ছিল ক্যারিয়ারে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তোলার। তবে, মোহাম্মদ আলীর লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। অবশ্য মুশফিক বিদায় নিলেও এরইমধ্যে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ৫০০ ছাঁড়িয়েছে। ক্রিজে মিরাজ থাকায় বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে সমর্থকরা।
মুশফিকের ১৫০, বড় লিডের পথে বাংলাদেশ
লম্বা সময় পর টেস্টে এমন ইনিংস দেখার সুযোগ পেলেন সমর্থকরা। রাওয়ালপিন্ডিতে শুরুতে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ এখন চালকের আসনে। চতুর্থ দিনে চা বিরতির আগ পর্যন্ত সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৯৫ রান। মুশফিক ১৭৩ ও মিরাজ ৫০ রানে অপরাজিত আছেন। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ রান।
পাকিস্তানের রান পাহাড় টপকে লিড নিল বাংলাদেশ
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে চারশ পেরিয়ে লিড নিল বাংলাদেশ। এর মধ্যেই সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন মিরাজ। বিদেশে এ নিয়ে দশমবার কোনো টেস্টে চারশ স্পর্শ করেছে বাংলাদেশের রান।
মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে লিডের পথে বাংলাদেশ
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দুই দিন অনেকটা ব্যাকফুটে থাকলেও পরের দুই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম সেঞ্চুরি মিস করলেও মুশফিক ঠিকই সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। এরইমধ্যে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক শতক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন মিডলঅর্ডার ব্যাটার মেহেদী মিরাজ। সবমিলিয়ে লিডের পথে বাংলাদেশ।
চাপের মুখে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি মুশফিকের
সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসে আর তর সইছিল না মুশফিকুর রহিমের। ব্যক্তিগত ৮৮ রানের পর টানা দুই বলে চার মেরে নাভার্স নাইটিতে প্রবেশ করেন এই ব্যাটার। এরপর কিছুটা রয়েসয়ে নেন বাকি চার রান। পূরণ করেন ২০০ বলে সেঞ্চুরি। যা মুশফিকের ক্যারিয়ারে এগারোতম শতক। লাঞ্চের ঠিক আগে সেঞ্চুরি পূরণ করেন এই ব্যাটার। আর সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হাত উঁচু করে সাজঘরে থাকা সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি মাঠে সিজদাহ দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাতে দেখা যায় তাকে।
আশা জাগিয়ে লিটনের বিদায়
১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথম কয়েক ওভার দুই ব্যাটার মুশফিক-লিটন দেখেশুনে খেললেও ৩৩২ রানের মাথায় খেই হারান লিটন। নাসিম শাহ এর লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়েন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৭৮ বলে ৫৬ রান।
স্বস্তি নিয়ে চতুর্থ দিনের শুরু বাংলাদেশের
বল হাতে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে, সাদমান-মুমিনুলদের দৃঢ়তায় সেই হতাশা কাটিয়ে উঠছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথম ইনিংসের পাকিস্তানের করা ৪৪৮ রান তাড়ায় নেমে স্বস্তিতে সফরকারীরা। তৃতীয় দিনের শেষে মুশফিক-লিটনের ব্যাটে ১৩২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
মুশফিক-লিটনে স্বস্তির তৃতীয় দিন
মুশফিক-লিটনের ব্যাটে তৃতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের ৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে। এখনো পিছিয়ে ১৩২ রানে। তবে ক্রিজে সেট হয়ে গেছেন দুই ব্যাটার মুশফিক ও লিটন দাস। তাদের ব্যাট আশা দেখাচ্ছে দলকে। এর আগে দারুণ ব্যাটিং করেন মুমিনুল হক ও ওপেনার সাদমান ইসলাম। সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন সাদমান, আর মুমিনুল তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি।
সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন সাদমান
ওপেনিংয়ে নেমে রাওয়ালপিন্ডিতে আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছিলেন সাদমান ইসলাম। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে তিনি নিয়ে যান শক্ত অবস্থানে। সেই সঙ্গে নিজেও ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু নার্ভাস নাইনটির ঘরে থামতে হলো তাকে। সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়েই সাজঘরে ফিরেছেন বাংলাদেশি ওপেনার। দলীয় ১৯৯ রানের মাথায় সাদমানকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ আলি। ৯৩ রানে তাকে বোল্ড করেন আলি। উইকেটে থেকে ১৮৩ বলে হাঁকিয়েছেন ১২ বাউন্ডারি। সাদমানের বিদায়ের পরপর চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।