গোটা ভারত সিরিজে বাংলাদেশ দলকে ভুগিয়েছে ব্যাটিং। এখন পর্যন্ত ব্যর্থতার দায় যদি নিতে হয়, তাহলে ব্যাটারদেরই তা সবার আগে নিতে হবে। ফরম্যাটটা যখন টি-টোয়েন্টি, দায়ের চেয়ে দায়িত্ব বেশি। কিন্তু, বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং দেখে মনে হয়, দায়সারা কাজ করছেন ব্যাটাররা। যেভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে উইকেট বিলিয়েছেন তারা, অধিকাংশেরই কোনো ব্যাখ্যা নেই।

ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) মাঠে নামবে বাংলাদেশ। শক্তি-সামর্থ্যে আমরা ভারতের চেয়ে পিছিয়ে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলে হারার আগে হেরে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা যেন ধরেই নিয়েছেন, ভারতের বিশ্বসেরা বোলিংয়ের সামনে এরচেয়ে ভালো করার উপায় নেই। ফলে, চেষ্টাও নেই।

তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে আছে ভারত। আজ জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হবে তাদের। শান্ত-লিটনদের সামনে জয় ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিততে হবে। আর জিততে হলে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে এর আগে একবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জয়ের হাসি হেসেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরাই। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন আমাদের ক্রিকেটাররা।

অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের বোলিং বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ। কিন্তু, বোলারদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার কাজটা করতে হবে ব্যাটিং বিভাগকে। বিশেষত, টপ অর্ডারকে নিতে হবে দায়িত্ব। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে টপ অর্ডারের অন্তত দুজনকে হারানো অলিখিত নিয়মে পরিণত করেছে বাংলাদেশ। আজও তার পুনরাবৃত্তি হলে টেস্টের মতো হয়তো টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও হারাতে হবে বাংলাদেশকে।