আইসিসির চেয়ারে জয় শাহ, সতর্কবার্তা বিদায়ী সভাপতির
মাত্র ৩৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। গত আগস্টে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া জয় শাহ গত ১ ডিসেম্বর চেয়ারে বসেছেন। তিনি সাবেক সভাপতি গ্রেগ বার্কলের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। যদিও দায়িত্ব ছাড়ার আগে জয় শাহকে নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন বার্কলে।
আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন গ্রেগ বার্কলে। নিউজিল্যান্ডের এই ক্রীড়া প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ নভেম্বর। বার্কলের জায়গায় ১ ডিসেম্বর নতুন দায়িত্বে এসেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সদ্য সাবেক সচিব জয় শাহ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় শাহকে নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বার্কলে ‘সে যে ভিত্তি পেয়েছে, আমি মনে করি, সেখান থেকে তার সামনে খেলাটিকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ। কিন্তু খেলাটিকে ভারতের কবজায় নিয়ে গেলে চলবে না। আমরা সত্যিই ভাগ্যবান যে সব দিক থেকেই ভারত খেলাটির জন্য বিশাল অবদান রাখছে। অন্যদিকে একটা দেশের এত ক্ষমতা ও প্রভাব অন্য অনেক অর্জনকে নষ্ট করে দিতে পারে, যা খেলাটিকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার দিক থেকে সহায়ক নয়।’
বার্কলে আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার ক্ষমতা জয় শাহর আছে। সবাইকে একত্র করতে এবং ক্রিকেটকে আরও বিকশিত করতে ভারত সাহায্য করতে পারে, এমন অনেক বিষয় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ কম কর বা খরচের সুবিধা নিতে বিদেশে তারা একটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থানান্তর করতে পারে, তাদের দলগুলোকে ছোট ও উদীয়মান দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ করে দিতে পারে, এ ছাড়া সদস্য দেশগুলোকে লাভবান করে তুলতে তাদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে এবং নতুন অঞ্চল ও বাজার খুলতে পারে।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর জয় শাহর জন্য প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অনিশ্চয়তার ইতি টানা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে আসরটি হওয়ার কথা। তবে প্রতিবেশী দেশে গিয়ে ভারত খেলতে রাজি না হওয়ায় আলোচনায় আসছে হাইব্রিড মডেলের কথা, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো হবে ভিন্ন আরেকটি দেশে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।