গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের সব পথ বন্ধ করল ইসরায়েল

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পণ্য প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ভগ্নপ্রায় যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হামাস ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আলোচনায় অচলাবস্থার মধ্যেই আজ রোববার (২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।
গাজায় ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি যতই শেষের দিকে চলে আসছে ইসরায়েল ততই মেয়াদ বাড়াতে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত এই অস্ত্রবিরতির আওতায় মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজান ও ইহুদিদের রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে হামাস বারবার অস্ত্রবিরতি বাড়ানোর বিরোধিতা করে আসছে। তারা চাইছে এই অস্ত্রবিরতি বা যুদ্ধবিরতিকে দ্বিতীয় ধাপে নিয়ে যেতে। আর এই প্রচেষ্টায় তাদের লক্ষ্য সব পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধপীড়িত গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে লড়াই বন্ধ করা।
এ রকম পরিস্থিতিতে রোববার নেতানিয়াহুর অফিস থেকে এক বিৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজ সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় সব ধরনের পণ্য সরবরাহের পথ বন্ধ থাকবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যদি তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করতে ক্রমাগত অস্বীকৃতি জানায়, তবে তাদের অন্য পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এদিকে, হামাস এই তৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, মানবিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বরখেলাপ ও এক ধরনের যুদ্ধাপরাধ।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, আজ রোববারও গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে কামান ও ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মন্তব্য জানতে চাইলে তারা বলেছে, এ বিষয়টি সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, খান ইউনিসে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া পাশের একটি শহরেও মারা গেছে আরও একজন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সৈন্যদের খুব কাছে বিস্ফোরক ডিভাইস স্থাপনের সময় বিমান হামলায় একজনকে হত্যা করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, রোববারের হামলায় কমপক্ষে চারজন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে আরও ছয়জন।