গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নেতাকর্মীরা, অভিযোগ কাদের মির্জার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা অভিযোগ করেছেন, কোম্পানীগঞ্জে গ্রেপ্তার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বসুরহাট পৌরসভার সাধারণ নাগরিকসহ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নেতাকর্মীরা। এ পর্যন্ত বেশ কিছু নেতাকর্মীর আটক হওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বসুরহাট পৌর কার্যালয়ে আজ শনিবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কাদের মির্জা।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, পৌর কার্যালয়ে হামলা হওয়ার পর থেকে তাঁর নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। চট্টগ্রাম, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর চাপরাশিরহাট ও সর্বশেষ পৌর কার্যালয়ে হামলা ও গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যা করতে না পেরে এখনও জেলা সদরে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমন্বয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত টিম গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন কাদের মির্জা। এ ছাড়া বিতর্কিত জেলা কমিটি দিয়ে কোনো তদন্ত টিম গঠন করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানান তিনি। কাদের মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছাড়া আর কোনো সভা সমাবেশ করা হবে না।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ওপরের নির্দেশে গ্রেপ্তার চলবে।
সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে সংঘর্ষ ও হামলা সংঘটিত হয়। এসব ঘটনা চলাকলে নিহত হয়েছেন সাংবাদিকসহ দুজন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ছয়টি। গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
এদিকে আজ শনিবার সকালেও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেছেন মেয়র কাদের মির্জা।