মৃত্যুর পরও ৩ নম্বর আসামি শাওন
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সদর থানায় দুটি মামলা হয়। এর একটিতে তিন নম্বর আসামি যুবদলনেতা শহিদুল ইসলাম শাওন, যিনি সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত হয়ে গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মামলাটি করেছেন পঞ্চসার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য আব্দুল মালেক। অপর মামলাটির বাদী সদর থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মাঈনউদ্দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রমিক লীগের মামলায় মৃত শাওন ছাড়াও ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বলেন, ‘মামলায় দুজন আসামি আটক আছে। এর চেয়ে বেশি এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে, মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে।’
নিহত শাওনকে কেন মামলার আসামি করা হয়েছে জানতে চাইলে এসআই আবুল বাসার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আজ বিকেলে মুঠোফোনে শ্রমিক লীগ সদস্য আব্দুল মালেকের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তারপুরের অফিস ভাঙচুর করায় ও আমার পোলাপান মারধর করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পুরনো ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদলনেতা শাওন গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শাওন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার সোয়াব আলীর ছেলে। পেশায় ইজিবাইকচালক শাওনের আট মাস বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।