রাঙামাটিতে বাসায় ঢুকে একজনকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নে সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে বন্দুকভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবিষ্কার চাকমা (৪০)। তিনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ‘সশস্ত্র রাজনীতি’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করছে একাধিক সূত্র।
সূত্রের দাবি, আজ ভোরের দিকে জেলার বন্দুকভাঙ্গা এলাকার একটি বাসায় সোফায় বসা অবস্থায় তাকে গুলি করে হত্যা করে চলে যায় একটি সশস্ত্র গ্রুপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে একটি বেড়ার ঘরে সোফার উপর গুলিবিদ্ধ তার মৃতদেহ দেখা যায়। মৃতদেহের সামনের টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও মোবাইল চার্জার দেখা যাচ্ছে। ঠিক কীভাবে কারা ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছেন সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহত ব্যক্তি আবিষ্কার চাকমা বলে নিশ্চিত করছেন একাধিক সূত্র।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন-এমন খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। স্থানটি দুর্গম হওয়ায় বিস্তারিত তথ্য পেতে একটু সময় লাগবে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
নিহতের বিস্তারিত পরিচয় সম্পর্কেও নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বরুণ কান্তি চাকমা বলেছেন, ‘আমার ইউনিয়নের কিচিং আদাম এলাকায় আবিষ্কার চাকমা নামের একজনকে মানিক্য চাকমার বাসায় কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। নিহত ব্যক্তি কোন দল করে কিনা আমি জানি না। এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নানাভাবে যোগাযোগ করেও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দায়িত্বশীল কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যমের যোগাযোগের বাইরে আছেন সংগঠনটির দায়িত্বশীলরা। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ই-মেইল বার্তাও পাঠায়নি সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নটি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। তবে গত শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ওই এলাকায় ইউপিডিএফের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে একে-৪৭ রাইফেলসহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছিল যৌথবাহিনী।