ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বলেছেন, ‘আমার ভেতরে একটা নিরাশা ছিল, ইসিতে বোধহয় রায় পাব না। আসলে সত্যের জয় অলটাইম হয়।’

আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানির পর প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে হিরো আলম এসব কথা বলেন।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি জোর গলায় বলেছিলাম, আমার সমর্থকদের স্বাক্ষর ঠিক আছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা যেদিন যাচাই করেছে তাদের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। ওখানে আমার ভোটাররা উপস্থিত ছিল, আমি জিজ্ঞেস করতে বলেছিলাম, তিনি জিজ্ঞেস করেন নাই। আমার সমর্থকদের স্বাক্ষরে মিল নাই। এখন ইসি দেখেছে স্বাক্ষর মিল আছে। এখানে সবকিছু মিল করে দেখেছে আমি সঠিক আছি। সবকিছু বিবেচনা করে ইসি আমাকে বৈধ ঘোষণা করেছে।’

আস্থা ফিরে পেলেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘আস্থা জায়গাটা তো অবশ্যই ভালো। এই যে দেখেন, আমি কিন্তু বারবার বলেছি আমি ফিরে পাব না। আজকে এখানে আমি ফিরে পেয়েছি। এরকম আজকে একটা হিরো আলম ফিরে পেয়েছে। আরও যখন ১০টা হিরো আলম ফিরে পাবে, আস্তে আস্তে আমাদের ইসির ওপর মানুষের যে ভুল ধারণা আছে, সেগুলা দূর হয়ে যাবে। মানুষের ইসির ওপর আস্থা আসবে, সেই হিসেবে জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করবে। যেই রকম আজকে আমি এখানে সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি। দেশবাসী দোয়া করবেন যেন ঢাকা-১৭ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে পাই।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘আজকে যেহেতু আমি সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি, সেহেতু আশা রাখতেছি নির্বাচনের দিনে সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেশে সামনে যে নির্বাচন আছে, তাতে ইসির ওপর আস্থা ফিরে আসবে—সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

হিরো আলম বলেন, ‘আমি জানি, দেশবাসী আমার এই নির্বাচনের দিকে আশা রাখবে। আপনারা ভোট দেন না-দেন, কেন্দ্রে আসবেন। কেউ যদি সিল মারে, আমার কথা হচ্ছে যদি ১০ জন সিল মারে আপনারা ২০ জন বের হবেন, যাতে সিল না মারতে পারে। এরকম করে যদি সবাই রুখে দাঁড়ান, তাহলে কেউ আর সিল মারতে পারবে না। আমাদের আসন ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কিন্তু, আপনাদের নীরবতার কারণেই কিন্তু জোর করে আমাদের আসন ছিনিয়ে নেয়। জোর করে অন্য প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’

হিরো আলম বলেন, ‘ব্যালটেই আমার বেশি আস্থা। এর আগে আমি ভোট করেছি, যেহেতু নয়-ছয় করেছে, তাই ইভিএমের প্রতি আমার আস্থা নাই।’

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রীদের খোঁজ নিয়ে দেখেন। কেউ ঢাকা শহরে ছিল না। গ্রাম থেকে এসে ঢাকা শহরে বাসা নিয়েছে। তারপর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তো আমাকে, হিরো আলমকে তো সারা বিশ্ব চেনে। জনপ্রিয়তা এবং সেই ভালবাসায় জনগণ আমাকে ভোট দেবে। এখানে ক্ষমতাশালী বা মার্কা কী, তা দেখে ভোট দেবে না। এখানে প্রার্থী দেখে ভোট দেবে। লুটপাট করবে না, জনগণের জন্য কাজ করবে এরকম একটা ছেলেকে নিয়ে আসবে।’

হিরো আলম বলেন, ‘বেশি কিছু করতে পারব না। কারণ, সময় পাওয়া যাবে ছয় মাস। বস্তিবাসীর রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব খারাপ, এগুলো কাজ করতে হবে।’