পর্যটন শিল্প বিকাশে বান্দরবানে দৃষ্টিনন্দন টানেল উদ্বোধন
পর্যটন শিল্পের বিকাশে বান্দরবানে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন টানেল সড়কের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ৫০০ ফুট লম্বা টানেল সড়কের ফলক উন্মোচন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘পর্যটকরা বান্দরবানের বাসটার্মিনালে আসা-যাওয়ার পথে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পর্যটকদের জন্য সুন্দর ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বান্দরবানে সাড়ে চার একর জায়গা নিয়ে বাস টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়। রাস্তার দুই পাশের পাহাড় রক্ষা, যানজট নিরসন, দূরত্ব কমানো ও পর্যটন জেলা বান্দরবানের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বান্দরবানে দৃষ্টিনন্দন টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে।’
পার্বত্যমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই বান্দরবানের উপজেলাগুলোতে হাসপাতাল নির্মাণ, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, ১৪টি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র শামসুল ইসলাম, বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, বান্দরবান উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম ইয়াছির আরাফাত জানান, টানেলটি পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন, যানজট নিরসন, বিকল্প সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। টানেলটি নির্মাণে ১১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কাজটি শুরু হলেও দুই দফায় অর্থ বরাদ্দের পর ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলে তৃতীয় দফায় অর্থ বরাদ্দের পর নির্মাণকাজ শেষ হয় চলতি বছর।