গোপালগঞ্জে ৪৬৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা
গোপালগঞ্জে চার হাজার ৬৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের বীজতলা তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ বীজতলার চারা দিয়ে জেলার পাঁচ উপজেলার ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমি চাষাবাদ করা হবে। ইতিমেধ্য চার হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমির বীজতলা করেছে কৃষকরা। বাকী ২৮৪ হেক্টরে বীজতলা প্রস্তুতের কাজ চলছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আ. কাদের সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলায় ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমি চাষাবাদের জন্য চার হাজার ৬৬৯ হেক্টরে বীজতলা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় এক হাজার ২৫৪ দশমিক দুই হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলায় ৫৩০ দশমিক দুই হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৫৩৫ দশমিক দুই হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় এক হাজার ৫৮০ দশমিক দুই হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩৮৫ দশমিক দুই হেক্টর জমিতে মোট চার হাজার ৩৮৫ হেক্টরে বীজতলা করা সম্পন্ন হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জেলার কিছু জমিতে দেরিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। সেসব জমিতে বোরো আবাদের জন্য আরও ২৮৪ হেক্টরে বোরো বীজতলা প্রস্তুত করছেন কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ‘নিন্মজলা ভূমি, বিশেষ করে বিল বেষ্টিত জেলা গোপালগঞ্জ। এ জেলায় এক ফসলি জমি বেশি। এসব জমিতে কৃষক বছরে একবার বোরো ধান আবাদ করেন। এবার বেশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এ জেলায় বেশি বোরা আবাদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তারা বলেন, ‘বোরো নির্ভর জেলা গোপালগঞ্জ। এ জেলার কৃষকরা বীজতলার কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন। এখন তারা জমি চাষাবাদ দিয়ে ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন। কিছু কিছু জায়গায় ধান আবাদ শুরু হয়েছে।’