সরকার মুখে যেসব নীতির কথা বলে বাস্তবে তা মেলে না : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সরকার মুখে নীতির যেসব কথা বলে; তা বাস্তবে মেলে না অনেক সময়। যেটা বাস্তবায়ন করে সেটা সঠিকভাবে করতে পারে না। এ জায়গায় মনোযোগ দিতে হবে। একদিকে ক্যাপিটাল গেইন হবো না, ইন্টারেস্ট ঠিক করবো না, ইন্ডাস্ট্রি ঠিক করবো না। অপরদিকে দুবাইতে ৫৩২ বাড়ি-ফ্ল্যাট বানাব। এ বাংলাদেশ দেখার জন্য তো আমি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করিনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এনটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সরকার মুখে নীতির যেসব কথা বলে; তা বাস্তবে মিলে না অনেক সময় এবং যেটা বাস্তবায়ন করে সেটা সঠিকভাবে করতে পারে না। এ জায়গায় মনোযোগ দিতে হবে। সরকার বলছে নির্বাচনি ইশতেহারে পরিকল্পনায় উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ হবে। অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা শেষ হতে চলেছে কিন্তু শিক্ষাখাতে ও স্বাস্ব্যখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার অর্ধেকও তারা পায়নি। অথচ পরিবহণ ও উন্নয়ন খাতে যে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল তার চেয়ে দেড়গুণ বেশি দেওয়া হয়েছে। এই যে বৈষম্য এ কারণে দেশের সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যাখ্যা করেছেন সরকারের উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। আমি অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাখ্যা করেছি। সরকারের এ মুহূর্তে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কোনো অবস্থা নেই। বাজেট এক ধরনের ইঙ্গিত দেয় বাজারের অবস্থা সম্পর্কে। আমরা যারা এখানে বসে আলোচনা করছি ; আর তৃণমূল মানুষ যারা স্ক্রিনের সামনে কথা বলছে; তাদের সাথে আমাদের আলোচনার কোন সামঞ্জস্য আছে কিনা? এ বাজেটের ভেতর দিয়ে যে তথ্য আসছে বাজেটের ৭০ শতাংশ পরিবহণ ও উন্নয়ন খাতের জন্য বরাদ্দ যাচ্ছে।
ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, এ মুহূর্তে একটি উদ্ভাবনী শক্তি দরকার। এই যে, নতুন সরকার আসছে, নতুন সরকার যদি সেই পুরোনা পদ্ধতিতে চালাতে থাকে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা না থাকে তাহলে দেশ জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে না। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষার বিষয় যদি বলেন, সরকারের বড় শক্তির জায়গা হলো এবারের ফসল ভালো হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ হয়েছে। সরকার পরিবারগুলোতে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছে। কিন্তু এসব কার্ডকে ডিজিটালাইজড করে ওইসব পরিবারগুলোকে না দেওয়া হলে সামাজিক সুরক্ষা হবে না। কেননা এ পরিবারগুলো সঠিকভাবে পাবে না।