বউ তালাকের জেরে প্রবাসী দুই সহোদরকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পারিবারিক বিরোধে বউ তালাকের জেরে দুই প্রবাসী সহোদর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জাফতনগর ছমদপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জাফতনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চার ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই করিম তার স্ত্রী নিগার সুলতানা হ্যাপিকে তালাক দেন। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। প্রায় তিন-চার বছর ধরে তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল।
এরপর তালাকের ঘটনায় স্ত্রীর পক্ষে সমাজের লোকজন অবস্থান নিয়ে চার ভাইকে সমাজচ্যুত করে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে স্ত্রী হ্যাপি স্বামীর ঘরেই থাকতেন। চার ভাই দেশে ফেরার পর সেই বিরোধের জেরে ঝগড়ার একপর্যায়ে করিম ও তাঁর ভাইয়েরা করিমের স্ত্রী ও সন্তানদের মারতে শুরু করেন।
এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের ঘেরাও করে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) ও মোহাম্মদ আলমগীরকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে। রেজাউল করিম ও তাঁর ছোট ভাই রাসেল ঘরে ঢুকে প্রাণে বেঁচে যান।
এ ঘটনায় আহত হন প্রতিবেশী বোরহান উদ্দিন (৩৫), আফাজ উদ্দিন (৩০), শাহাবুদ্দিন (৫৫), বাচ্চু (৪০), স্ত্রী নিগার সুলতানা হ্যাপি (৩৮), মেয়ে নাজিফা আকতার রিয়া (১৮)।
উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছমদবাড়ির নূরুল ইসলামের বড় ছেলে মো. রেজাউল করিমের (৫৫) একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. সোলায়মানের মেয়ে নিগার সুলতানা হ্যাপির সঙ্গে ২০০৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিয়ে হয়।
ঘটনার পর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. সালেহ তুহিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। আহতরা চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।