ভালো আছেন জাভেদ, দ্রুতই বাসায় ফিরবেন
সফল অস্ত্রোপচারের পর গতকাল সন্ধ্যায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা ইলিয়াস জাভেদকে। বর্তমানে তিনি ভালো আছেন। দু-একদিনের মধ্যে বাসায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
মূত্রনালিতে সমস্যার কারণে গত ৩ মার্চ রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন জাভেদ। গত শনিবার সকালে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে জায়েদ খান বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় জাভেদ ভাইকে কেবিনে পাঠানো হয়েছে। আমি ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এখন ভালো আছেন, আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
জায়েদ খান আরো বলেন, ‘জাভেদ ভাইয়ের প্রস্রাবে সমস্যা হয়েছিল। যে কারণে বাংলাদেশ মেডিকেলে অস্ত্রোপচার হয়। ডাক্তারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সাধারণ অস্ত্রোপচার ছিল এটি, দুয়েকদিনের মধ্যে ভাইকে বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন ডাক্তার।’
দর্শকমহলে অভিনেতা হিসেবে পরিচিত হলেও চলচ্চিত্রপাড়ায় জাভেদ সফল নৃত্য পরিচালক। নৃত্য পরিচালনা দিয়েই মূলত তিনি চলচ্চিত্রজগতে যাত্রা শুরু করেন। ইলিয়াস জাভেদ পরবর্তী সময়ে নায়ক হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অন্ধ প্রেম’ ও ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান তিনি। ‘নিশান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি তারকা খ্যাতি পান জাভেদ।
১৯৭০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত নায়কদের মধ্যে জাভেদ ছিলেন অধিক জনপ্রিয়। তাঁকে বলা হতো চলচ্চিত্রের রাজপুত্র। নিজের অভিনীত চলচ্চিত্রে তিনি নৃত্য পরিচালক হিসেবেও কাজ করতেন। তবে নৃত্য পরিচালক হিসেবে নয়, পর্দায় নায়িকাদের সঙ্গে নেচে দর্শকের মন জয় করেছিলেন জাভেদ।
নায়ক হিসেবে জাভেদ অভিনয় করেছেন ‘মালকা বানু’, ‘অনেক দিন আগে’, ‘শাহাজাদা’, ‘রাজকুমারী চন্দ্রবান’, ‘সুলতানা ডাকু’, ‘আজো ভুলিনি’, ‘কাজল রেখা’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘নিশান’, ‘বিজয়িনী সোনাভান’, ‘রূপের রানী’, ‘চোরের রাজা’, ‘তাজ ও তলোয়ার’, ‘নরমগরম’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘জালিম’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রাজিয়া সুলতানা’, ‘সতী কমলা’, ‘বাহারাম বাদশা’, ‘আলাদিন আলী বাবা’, ‘সিন্দাবাদ’ প্রভৃতি সিনেমায়।