‘যৈবতী কন্যার মন’ বৈশাখে
এবারের পয়লা বৈশাখে মুক্তি পাচ্ছে না আক্তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘যৈবতী কন্যার মন’। সেলিম আল দীনের মঞ্চনাটক ‘যৈবতী কন্যার মন’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। মূল গল্প ঠিক রেখে এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন নারগিস আক্তার। ছবিটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে।
নারগিস আক্তার বলেন, ‘আগামী পয়লা বৈশাখে আমরা ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। ছবির গল্পটি বেশ জটিল। তবে দর্শকের জন্য সহজভাবে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করেছি। প্রায় ১০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। যে কারণে লোকেশন বের করে কাজ করাও কঠিন ছিল। আশা করি, ছবিটি দেখে সবাই পছন্দ করবেন।’
ছবিতে ‘কালিন্দী’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার সায়ন্তনী দত্ত ও আলাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আবদুন নূর। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত ও গোলাম ফরিদা ছন্দা।
গোলাম ফরিদা ছন্দা বলেন, “এর আগে আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অর্পিতা’ মুক্তি পায়। ওই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সিনেমাটির জন্য দর্শক ও সহকর্মীদের খুব উচ্ছ্বাস দেখেছিলাম। তাই এখন সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহী হয়েছি। ‘যৈবতী কন্যার মন’ ছবিতে কাজ করে অনেক ভালো লেগেছে। দর্শক ভিন্ন কিছু পাবে ছবিতে।”
ছন্দা আরো বলেন, “‘মিঠুর একাত্তর’ শিরোনামে সরকারি অনুদানের সিনেমা নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছি। ছবিটি নির্মাণ করছেন জাহিদ শাওন। এটি মূলত সরকারি অনুদানে নির্মিত একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এতে মিঠু নামের এক কিশোরের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার গল্প দেখানো হবে। আমি তার মায়ের চরিত্রে কাজ করছি। আমার স্বামীর চরিত্রে আছেন আজিজুল হাকিম।”
চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক নারগিস আক্তার। চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে বেশ কিছু তথ্যচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। ২০০১ সালে তিনি ‘মেঘলা আকাশ’ ছবি পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালকের খাতায় নাম লেখান। চলচ্চিত্রটি ছয়টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে এবং তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার অর্জন করেন। এ পর্যন্ত তিনি সাতটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।