চলচ্চিত্রে সাতান্নয় সফল তিন!

দেশে চলতি বছর মুক্তি ৫৭টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। বেশির ভাগ ছবিই লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আনতে পারেনি। সেই সংখ্যা ৪৫-এর মতো। আট থেকে ১০টি ছবি বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে আনতে পেরেছে। আর ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক হয়েছে মাত্র তিনটি ছবি!
বাংলাদেশ প্রদর্শক সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, সফল হওয়া তিন চলচ্চিত্রের মধ্যে একটিমাত্র বাংলাদেশের ছবি। অন্য দুটি ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার ছবি। সফল হওয়া ওই তিন চলচ্চিত্র হচ্ছে, চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘আয়নাবাজি’, শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারি’ ও ভারতের অভিনেতা জিৎ অভিনীত ‘বাদশা।’
তবে প্রদর্শক সমিতি জানিয়েছে ওই তিন ছবির মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা এসেছে বাংলাদেশের ছবি ‘আয়নাবাজি’ থেকে। ছবিটির পরিচালক অমিতাভ রেজা। তবে কত টাকা আয় করেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি সমিতি।
প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন “আমাদের সমিতির জরিপ অনুযায়ী এ বছর তিনটি ছবি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ টাকা এসেছে ‘আয়নাবাজি’ ছবি থেকে। বছরের শেষ দিকে এই ছবিটি আমাদের দেশের চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এ ধরনের পাঁচটি ছবি আমরা মুক্তি দিতে পারলে সিনেমা হলের ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে পারব।
দ্বিতীয়স্থানে আছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘শিকারি’। আয়নাবাজি রিলিজ হওয়ার আগে এই ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে প্রথম স্থানে ছিল। ছবির নায়ক বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খান। তাঁর নিজেরও দর্শক আছে আমাদের দেশে। এর পরও দেখা যায় তাঁর মুক্তি পাওয়া বেশ কিছু ছবি ব্যবসায়িকভাবে সফল হতে পারেনি। কারণ, এখনকার দর্শক গল্প নির্ভর ছবি দেখতে চান। ভালো অভিনয় দেখতে চান। শাকিব খানের বাংলাদেশের যে ছবিগুলো মুক্তি পেয়েছে হয়েছে তার গল্প নিখুঁত ছিল না। শাকিব অনেক ভালো অভিনেতা। এখন ভালো গল্প না পেলে তার কী করার আছে?
তৃতীয় পর্যায়ে আছে কলকাতার হিরো জিতের ‘বাদশা’। যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটি আমাদের জরিপে তৃতীয় স্থানে আছে। বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী জিৎকেও আমরা সুপারস্টার বলতে পারি। কারণ, তার ছবি বলেই হয়তো এতো দর্শক টানতে পেরেছে ছবিটি। এখনও ছবিটি ভালো ব্যবসা করছে।”
মিয়া আলাউদ্দিন আরো বলেন “সিনেমা হল বাঁচাতে আমাদের সব ছবিই চালাতে হয়। তবে আমাদের ভালো লাগে যদি বাংলাদেশের ছবি দিয়ে ব্যবসা করা যায়। সেই হিসেবে ‘আয়নাবাজি ‘ ছবিটি আমাদের কাছে এক পশলা বৃষ্টির মতো। আশা করি, আগামী বছর আরো ভালো ছবি দিয়ে দর্শক ধরে রাখতে পারবেন বাংলাদেশের পরিচালকরা।”