নিজেকে দেখলে বিরক্ত হন ‘বন্ড’!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/28/photo-1446034164.jpg)
সাধারণ দর্শকের কথা বাদ দিন। খোদ ব্রিটিশ রাজপরিবারের রথী-মহারথীরা অপেক্ষা করে থাকেন, কবে যে বড়পর্দায় রমণীমোহন দুর্ধর্ষ জেমস বন্ডকে দেখবেন! তবে ‘বন্ড’রূপী ড্যানিয়েল ক্রেগ বড়পর্দায় নিজেকে দেখতে একেবারেই পছন্দ করেন না। এনডিটিভির খবরে জানা গেল, বড়পর্দায় নিজেকে দেখলেই নাকি বিরক্ত হন তিনি।
ফিমেল ফার্স্টের প্রতিবেদনে জানা গেল, কেবল বন্ড নয়, বড়পর্দায় নিজের যে কোনো চরিত্র রূপায়ণই দেখতে ভালো লাগে না ড্যানিয়েলের। কারণ, বাস্তব জীবনে নিজেকে দেখতে এবং নিজেকে নিয়ে চলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। তবে আরেকটি ব্যাপার, বন্ড হিসেবে পারফর্ম করতে দারুণ ভালোবাসেন এই ড্যাশিং অভিনেতা।
লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্টা হলে টেলিভিশন উপস্থাপক রিক এডওয়ার্ডসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি খুবই এক্সাইটেড, সবাই কখন ছবিটা দেখতে পাবে- এ অপেক্ষা আর সইছে না আমার!’
৪৭ বছর বয়স্ক ড্যানিয়েল ক্রেগের বন্ড হিসেবে ‘স্পেক্টর’ই শেষ ছবি কি না, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে প্রচুর। তবে তিনি নিজেই কিছুদিন আগে জানিয়েছেন, এখনই জিরো জিরো সেভেনের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন না তিনি। আরো একটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে, সময় এবং পরিস্থিতি বুঝেই তাই সিদ্ধান্ত নেবেন এ বিষয়ে।
এই ছবির গল্প ইয়ান ফ্লেমিংয়ের মৌলিক বন্ড কাহিনীর একেবারেই বাইরে। ‘স্পেক্টর’ মূলত দুর্বৃত্তদের একটি সংগঠন। ইতালির রাজধানী রোমে একটি মিশনে থাকার সময় এর সন্ধান পায় বন্ড। এদের সম্পর্কে জানতে ধেয়ে যান তিনি মেক্সিকো সিটি পর্যন্ত। এই অনুসন্ধানে বাধা আসে তাঁর নিজেরই এজেন্সি এম১৬ থেকে। তাতে কি, বিষয়টি ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন বন্ড। একাই ‘স্পেক্টর’-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ড্যানিয়েল ক্রেগ হচ্ছেন ষষ্ঠ বন্ড। প্রথম বন্ড ছিলেন শন কনোরি। ১৯৬২ সালের ‘ড. নো’ ছবির মাধ্যমে তাঁকে দিয়েই শুরু হয়েছিল এই সিরিজ। তার পরে একে একে এসেছেন রজার মুর, টিমোথি ডালটন, জর্জ ল্যাজেনবি, পিয়ার্স ব্রুসনান। এরপর ড্যানিয়েল ক্রেগ। ক্রেগের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।