কেউ পয়সা দিতে চাইত না : শ্যারন স্টোন
পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা কেবল উপমহাদেশে নয়, বরং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউডেও বিদ্যমান। নামীদামি অভিনেত্রীরাও এই ফেরে আটকে থেকেছেন, সহ-অভিনেতাদের চেয়ে পারিশ্রমিক পেয়েছেন অনেক কম। এ নিয়ে এখন সোচ্চার হতে শুরু করেছেন তাঁরা। এবার প্রতিবাদে যোগ দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন। পিপল ডটকমে প্রকাশিত এক খবরে জানা গেল, সব ঘরানার অভিনেত্রীদের জন্যই সম্মানজনক পারিশ্রমিকের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পারিশ্রমিক নিয়ে নিজের কষ্টকর অভিজ্ঞতার কথা অকপটে বলেছেন শ্যারন। তাঁর আলোচিত এবং ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইরোটিক থ্রিলার ঘরানার ছবি ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’-এর সাফল্যের পরও নাকি কেউ তাঁকে পারিশ্রমিকই দিতে চাইত না! ‘এই ছবিটার পরও কেউ আমাকে টাকা-পয়সা দিতে চাইত না। আমার মনে আছে, আমি কিচেনে বসে থাকতাম আর আমার ম্যানেজারের সামনে কাঁদতাম। আমি তাঁকে বারবার বলতাম যে টাকা-পয়সা পাওয়ার আগপর্যন্ত আমি কোনো কাজ করব না’, পুরোনো দিনের কথা এভাবেই স্মরণ করেন হলিউডের সর্বকালের সেরা আবেদনময়ীদের অন্যতম শ্যারন।
এমনকি এখনো যে পরিস্থিতি তাঁর জন্য বদলে গেছে, তা নয়। এ প্রসঙ্গে শ্যারন বলেন, ‘অন্য যেকোনো অভিনেতার থেকে আমি এখনো কম পারিশ্রমিক পাই।’
এ পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন শ্যারন। তবে নির্দিষ্ট কোনো অভিনেত্রী নয়, বরং সব ক্ষেত্রের অভিনেত্রীদের জন্যই একটি মানসম্মত পারিশ্রমিক নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।
৫৭ বছর বয়স্ক এই মার্কিন অভিনেত্রী সিনেমা এবং টেলিভিশন সিরিজ মিলিয়ে প্রায় ৯০টি প্রোজেক্টে কাজ করেছেন, কাজ করে চলেছেন এখনো। ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’-এর মতো অজস্র ছবিতে দেখিয়েছেন নিজের অভিনয় প্রতিভা। ১৯৯৬ সালে ‘ক্যাসিনো’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি।