এফডিসিতে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন মৌসুমী
নানা কারণে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর উত্তেজনার পারদ উঠতে থাকে তুঙ্গে। মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিপরীতে একটি প্যানেল নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার কথা ছিল চিত্রনায়িকা মৌসুমীর। তবে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন তিনি। আজ ভোটের দিন নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন জনপ্রিয় এই তারকা।
ভোটের দিন সকালেই এফডিসিতে হাজির হন মৌসুমী। হাস্যোজ্জ্বল মৌসুমীর পাশে এ সময় তাঁর স্বামী, চিত্রনায়ক ওমর সানীকে দেখা যায়। এ সময় মৌসুমী ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে মৌসুমী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পরিবেশ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ভোটাররা কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। অনিয়মের আশঙ্কা করা হলেও সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে।’
এ সময় ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে আহ্বান জানান মৌসুমী। জানা যায়, সকাল ৯টায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুই বছর মেয়াদি এই কমিটির দায়িত্বে কারা আসবেন, তা নির্ধারণ করতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। মাঝে দুপুর ১টা থকে ২টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্ণভোজের বিরতি রয়েছে।
এরই মধ্যে এফডিসিতে হাজির হয়েছেন মিশা সওদাগর, মৌসুমী, ওমর সানি, রুবেল, জায়েদ খান, ইমনসহ প্রার্থী ও ভোটারেরা। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিগণ ও গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে সেখানে।
এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল করে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী স্বতন্ত্র হিসেবে সভাপতি পদে লড়ছেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী খলনায়ক মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মিশা-মৌসুমীর।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন মৌসুমী ও মিশা সওদাগর। সহসভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন—অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।