২০১৫
হলিউডের ব্যবসাসফল ১০ ছবি
অন্যান্য বছরের মতোই ২০১৫ সালের হলিউড ছিল জমজমাট। ৩৬৫ দিনের হিসাব মিলিয়ে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ১৩০টির মতো ছবি। কোনো কোনোটির জন্য দর্শকের আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী; প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির হিসাবে তার মধ্যে কিছু ছবি উতরে গেছে, কিছু ব্যর্থ হয়েছে। নির্মাতাদের তালিকায় অনেক নতুন নামের পাশাপাশি ফিরেছে ‘স্পিলবার্গ’ বা ‘ইস্টউড’-এর মতো কিংবদন্তি নাম! ইউএস বক্স-অফিসে আয়ের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সম্প্রতি ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ (আইএমডিবি) প্রকাশ করেছে এ বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ২৫টি সিনেমার তালিকা। এর মধ্যে সেরা ১০ ছবির সম্বন্ধে থাকছে এ আয়োজনে।
সিন্ডারেলা
শেকসপিয়রের ক্লাসিক কাজগুলোকে ‘থর’ কিংবা ‘ডিজনি’জ সিন্ডারেলার’ মতো বাণিজ্যিক রূপ দেওয়া নির্মাতা ‘কেনেথ ব্রানা’র আরেকটি নির্মাণ ‘সিন্ডারেলা’। বাণিজ্যিক রূপের সিন্ডারেলা ব্যবসায়িকভাবেও যথেষ্ট সফল। ইউএস বক্স-অফিসে এখন পর্যন্ত যার আয় ২০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
দ্য মার্শিয়ান
ম্যাট ডেমনের অসাধারণ অভিনয় আর ড্রিউ গডার্ডের মেধাবী স্ক্রিনপ্লে এই সিনেমাটিকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। মানবিকতা আর হাস্যরসের বিস্ময়কর মিশেলের কারণে সাই-ফাই জনরার দর্শকের মনে এ ছবির রেশ থেকে যাবে অনেক দিন। বক্স-অফিসে যার প্রতিফলন ঘটেছে প্রায় সাড়ে ২২ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের মাধ্যমে।
দি হাঙ্গার গেমস : মকিংজে-পার্ট ২
‘সুজান কলিন্স’-এর ‘দি হাঙ্গার গেমস’ ত্রয়ী উপন্যাসের শেষ অংশ অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমা বছর শেষে অন্যতম ব্যবসাসফল। ইউএস বক্স-অফিসে এখন পর্যন্ত যার আয় ২৬ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
মিনিয়নস
বছরজুড়ে অ্যানিমেশন ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ‘মিনিয়নস’। হাস্যকর সব কার্যকলাপ আর ‘কলার’ প্রতি অদ্ভুত ভালোবাসা দিয়ে ‘মিনিয়ন’রা জয় করে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের মন। আয় করেছে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। দুটি ‘ডেসপিকেবল মি’ আর মিনিয়নস মিলিয়ে এই ত্রয়ী ইউএস বক্স-অফিসে এখন পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সে সঙ্গে নির্মাতা ‘পিয়েরে কফিন’, যিনি তিনটি সিনেমাতেই মিনিয়নদের ভোকালাইজেশন করেছেন, তিনি মোশন পিকচারের ইতিহাসে সর্বাধিক আয়কারী ‘ভয়েস অ্যাক্টর’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
আমেরিকান স্নাইপার
কিংবদন্তি নির্মাতা ও অভিনেতা ক্লিন্ট ইস্টউড আবারো দেখালেন, বয়স যতই হোক না কেন, ধার কমেনি তাঁর এক ফোঁটাও। জীবনের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আমেরিকান স্নাইপার’ তো তিনি এ বছরেই বানালেন! সিনেমাটির আয়ের খাতায় এখন পর্যন্ত যোগ হয়েছে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি, যেখানে ছবির বাজেট ছিল ছয় কোটি মার্কিন ডলারের মতো। এর মাধ্যমে ‘আমেরিকান স্নাইপার’ ‘ওয়ার ফিল্ম’ ঘরানার ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
ফিউরিয়াস সেভেন
পল ওয়াকারের আকস্মিক মৃত্যু আর ঘটনাবহুল নির্মাণের পর ফিউরিয়াস সেভেন এ মৌসুমে তুলে নিয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার।
ইনসাইড আউট
অ্যানিমেশন ছবির এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা আর সাফল্যের সবচেয়ে সাম্প্রতিক নিদর্শন ‘ইনসাইড আউট’। অ্যানিমেনেটেড সিনেমাকে বাচ্চা দর্শকের গণ্ডি থেকে বের করে আনা পিক্সারের আরেকটি ব্যবসাসফল সৃষ্টি এই সিনেমা। তুমুল দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি ‘ইনসাইড আউট’ এখন পর্যন্ত ব্যবসা করেছে প্রায় ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার।
অ্যাভেঞ্জার্স : এজ অব আলট্রন
বক্স-অফিসের রেকর্ড ভাঙানো দি অ্যাভেঞ্জার্সের (৬২ কোটি মার্কিন ডলার) মতো অতটা ব্যবসাসফল হতে না পারলেও অ্যাভেঞ্জার্সের দ্বিতীয় কিস্তিও কিন্তু কম আয় করেনি। এখন পর্যন্ত এই সিনেমা আয় করেছে প্রায় ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। দি অ্যাভেঞ্জার্স এবং দি ডার্ক নাইটের পর এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যবসাসফল ‘কমিকবুক অ্যাডাপশন’।
স্টার ওয়ার্স : দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেনস
এখনো ৫৭ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে জে জে আব্রামের এই সিনেমা। আয়ের পরিমাণ ছাড়াও ‘স্টার ওয়ার্স’ ভক্তদের প্রতীক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণেও যথেষ্ট পরিমাণে সফল হয়েছে এই বিখ্যাত সিরিজের ছবিটি।
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড
‘ট্রেভোরো’র সিক্যুয়াল/রিবুট হিসেবে নির্মিত হয়েছে ‘জুরাসিক পার্ক’। ‘মডার্ন ব্লকবাস্টার’-এর ‘সূচনাকারী’ স্টিভেন স্পিলবার্গের এই সিনেমা কাঁপিয়েছে পর্দা আর বক্স-অফিস, একই সঙ্গে কামিয়ে নিয়েছে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি, যা আবার সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির তালিকায় এরই মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে।