ভাই মার্টিনের মৃত্যুতে রাসেল ক্রোর শোক
একজন বিখ্যাত অভিনেতা, আরেকজন বিখ্যাত ক্রিকেটার। সম্পর্কে দুজন চাচাতো ভাই। অভিনেতা রাসেল ক্রো আর ক্রিকেটার মার্টিন ক্রো।
রাসেলের চেয়ে দুই বছরের বড় ছিলেন মার্টিন। একসঙ্গেই বেড়ে উঠেছিলেন দুজন। শৈশব কৈশোরের অনেক স্মৃতি দুজনের। সেই ভাইয়ের মৃত্যুতে রাসেল ক্রো নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে মার্টিন ক্রোর ছবির সাথে লিখেছেন, ‘আমার চ্যাম্পিয়ন, আমার নায়ক, আমার বন্ধু। সবসময় আমি তোমাকে ভালোবাসব।’
দুই দেশে থাকলেও হৃদ্যতায় কখনো ঘাটতি হয়নি দুই ভাইয়ের। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘযুদ্ধ শেষে ৫৩ বছর বয়সে আজ বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক ক্রিকেটার মার্টিন ক্রো।
১৯৬২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন ক্রিকেটার মার্টিন ডেভিড ক্রো। ক্রিকেট মাঠ ছাড়ার পরও ক্রিকেটের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। ধারাভাষ্যকার ও লেখক হিসেবে কাজ করেছেন।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে আশির দশকের শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ড দলের হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন মার্টিন ক্রো। ১৯৯৬ সালে অবসরে যান তিনি।
অন্যদিকে রাসেল ইরা ক্রো জন্মেছিলেন ১৯৬৪ সালের ৭ এপ্রিল। একইসঙ্গে তিনি একজন অভিনেতা, প্রযোজক ও সুরকার। নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হলেও রাসেল তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় এবং নিজেকে অস্ট্রেলিয়ান পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।
২০০০ সালে রিডলি স্কট পরিচালিত ‘গ্ল্যাডিয়েটর’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে সবার নজর কাড়েন রাসেল ক্রো। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার অস্কারও পান তিনি।
তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ইনসাইডার’ (১৯৯৯), গণিতবিদ জন ন্যাশের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত ‘আ বিউটিফুল মাইন্ড’ (২০০১), ‘সিনড্রেলা ম্যান’ (২০০৫), ‘আমেরিকান গ্যাংস্টার’ (২০০৭), ‘স্টেট অব প্লে’ (২০০৯), ‘লা মিজরেবল’ (২০১২), ‘ম্যান অব স্টিল’ (২০১৩), ‘দ্য ওয়াটার ডিভাইনার’ (২০১৪)।