এক্স-মেনের প্রচার নিয়ে বিতর্ক, ক্ষমা চাইল ফক্স
ঝুলছে বিশাল বিলবোর্ড। সেখানে এক্স-মেন সিরিজের দুই চরিত্রের ছবি। তাঁদের মধ্যে একজন পরিচিত এক্স-মেন মিস্টিক, এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেনিফার লরেন্স। বিলবোর্ডে তিনি অনেকটাই অসহায়, কারণ তাঁর গলা চেপে ধরেছে অ্যাপোক্যালিপ্স। বিলবোর্ডের ওপরের দিকটায় লেখা-‘অনলি দ্য স্ট্রং উইল সার্ভাইভ’। মানে দাঁড়াল, ‘জোর যার মুল্লুক তার’! তবে নারী চরিত্রের দিকে এমন বলপ্রয়োগের নজির মোটেও সহজভাবে নেয়নি অনেকেই। যদিও ছবির একটি দৃশ্যই দেওয়া হয়েছিল বিলবোর্ডে।
বিলবোর্ডের ছবিটি অনেকের পছন্দ না হওয়ার বিষয়টি আমলে নিয়েছে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স। এরই মধ্যে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেল এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির খবর থেকে।
ফক্সের পক্ষ থেকে এভাবে বলা হয়, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অ্যাপোক্যালিপ্স নামের চরিত্রটি ভয়ংকর শক্তি আর নৃশংসতার সঙ্গে দর্শককে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। বিষয়টি এমনভাবে রূপ নেবে দা আমরা ভাবতে পারিনি। যখন আমরা বুঝতে পেরেছি যে এটা স্পর্শকাতর এবং নেতিবাচক একটি দিক প্রকাশ করেছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বিলবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছি। কেউ যদি আমাদের এই ছবির কারণে আহত বোধ করে থাকেন, সে জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এই ছবির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ছাড়াও সামাজিক মাধ্যমে জোরেসোরে প্রতিবাদ করেছেন অজস্র মানুষ। বিজ্ঞাপন বা সুপারহিরো-থিমের চলচ্চিত্র, কোনোকিছুতেই পুরুষের মাধ্যমে নারীর অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না, প্রতিবাদের মূল ভাষ্য এমনটাই।
‘এক্স-মেন : অ্যাপোক্যালিপ্স’ এ মুহূর্তে ইউএস বক্স-অফিসে শীর্ষস্থানে রয়েছে। তবে এটিই হতে পারে ‘এক্স-মেন’ সিরিজে জেনিফারের শেষ ছবি। এই ছবি পর্যন্তই টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সঙ্গে চুক্তি ছিল জেনিফারের, একই সঙ্গে মাইকেল ফ্যাসবেন্ডার এবং জেমস ম্যাকাভয়ের জন্যও এটি সিরিজের শেষ ছবি। চুক্তি অনুযায়ী ছবিতে থাকতে হবে তিনজনকেই। আর না থাকলে একজনও থাকবেন না। এ মুহূর্তে জেনিফার নিজে যেমন এ বিষয়ে নিশ্চিত নন, তেমনি ফ্যাসবেন্ডার বা ম্যাকাভয়ও নিশ্চিত করতে পারছেন না কিছুই। জেনিফার নিজেই মনে করছেন, এই সিরিজের পর তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।