নারীর অসম্মান
শিল্পীদের ‘হোক প্রতিবাদ’
পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাকায় ঘটেছে বেশ কিছু যৌন নিপীড়নের ঘটনা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মাঠে নেমেছেন শিল্পী সমাজ। নারীদের সঙ্গে এমন আচরণের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী ও টিভি ব্যক্তিত্বরা মানববন্ধন করেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে শুধু সীমাবদ্ধ না থেকে এবার প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমে এসেছেন তাঁরা।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চয়নিকা চৌধুরী, শহীদুল আলম সাচ্চু, মেহের আফরোজ শাওন, অরুণা বিশ্বাস, রুনা খান, তমালিকা কর্মকার, শামীমা তুষ্টি, জামিল হোসাইন ও মোহন খানসহ প্রায় ১০০ জন অভিনয়শিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও কলাকুশলী উপস্থিত ছিলেন। ‘হোক প্রতিবাদ’ লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে তাঁরা স্লোগান দেন-
‘তারুণ্য আর একবার রুখে দাঁড়াও এই শহরে
পুরুষ নামের নপুংষকদের বিরুদ্ধে, নারী নিগৃহের বিরুদ্ধে
হোক প্রতিবাদ’
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মোহন খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রতিবাদ চলছে এবং এটা চলতেই থাকবে। আগামীকাল (সোমবার, ২০ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল আমরা শিল্পীসমাজ সেখানে আবার একত্রিত হবো। আমরা এই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চাই। আগে বাংলাদেশি মেয়েদের এসিড দেওয়া হতো। আন্দোলন করে এটা এখন বন্ধ হয়েছে। পয়লা বৈশাখে ও বিশেষ উৎসবগুলোতে হরহামেশাই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই ধারাবাহিকতা চলতে দেওয়া যায় না। এভাবে চলতে দিলে অপরাধীরা উৎসাহী হবে।’
মোহন খান আরো বলেন নারী নির্যাতন ও ইভ টিজিং রোধে শিল্পীদের আরো সংগঠন একত্রিত হয়ে মাঠে নামবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাধারণ জনতাও তাঁদের পাশে থেকে সমর্থন দেবে।
অভিনেতা জামিল হোসাইন বলেন, ‘যে ঘটনা নরপুরুষরা ঘটিয়েছে তা মেনে নেওয়ার মতো না। বিচার না হলে ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের কাজ আবারও করবে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরাও শিল্পীসমাজ এর প্রতিবাদ করা দায়িত্ব মনে করছি। আন্দোলন চলিয়ে যাব।’