যে ৪ প্রশ্নে ধরা খেলেন সালমান
জেলবাস থেকে বাঁচার জন্য চেষ্টার কমতি ছিল না গণ্ডা গণ্ডা গুন্ডা পেটানো নায়ক সালমানের। সে জন্য জোগাড়ও করেছিলেন হাই প্রোফাইল আইনজীবী। কিন্তু রুপালি পর্দার শেষ দৃশ্যের মতো আদালতে সব ঝামেলা মিটে যায়নি। রায় যদি আর এদিক-সেদিক না হয়, তাহলে আর্থার রোডের কয়েদখানাতেই আস্তানা গাঁড়তে হবে দাবাং খানকে। ডিএনএ ইন্ডিয়ার যাচাইয়ে, চারটি প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারাই কাল হয়েছে সালমান বা তাঁর আইনজীবীর। কী ছিল প্রশ্নগুলো?
১. সালমান কি চালকের আসনে ছিলেন?
সালমান বা তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা বলেছিলেন, গাড়ি চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার অশোক। কিন্তু সালমান আগেই খেয়েছেন বড় ধরা, তাঁর বডিগার্ড রবীন্দ্র পাতিল প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন এ বিষয়ে আজ থেকে বহু আগে। তাঁর বয়ানে, বেদম মাতাল হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন খোদ সালমান। সালমানের আইনজীবী যতই চেষ্টা করুন না কেন, মৃত রবীন্দ্রর বক্তব্যই বহাল থেকেছে শেষটায়।
২. অশোক সিংয়ের ‘স্বীকারোক্তি’
অশোক সিং (সালমানের ড্রাইভার) এসে বললেন, তিনিই চালাচ্ছিলেন গাড়ি, সালমান নন। কিন্তু কবে এসে বললেন? পাক্কা এক যুগ পর! কেন এতদিন বাদে এই বক্তব্য? কারণ, সালমানের বাবা নাকি তাঁকে বলেছিলেন, কথাটা চেপে যেতে! অশোকের বক্তব্য সত্য-মিথ্যা যাই হোক, মোটেও ভজাতে পারেনি বিচারকের চিন্তাভাবনা। উল্টো ধোঁকাবাজির দায়ে ধরা খেতে পারেন অশোক নিজেও। বিবাদীপক্ষ এও বলেছিল যে, পুলিশ স্টিয়ারিং হুইল থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়নি, তবে সে কথা তেমন আমলে নেননি বিচারক।
৩. মাতাল ছিলেন সালমান?
সালমানের আইনজীবীর বক্তব্য, ঘটনার দিন কেবল পানি (মিনারেল ওয়াটার) খেয়েছিলেন সালমান। জুহুর ‘রেইন বার’-এর বিল বলছে, ককটেল আর বেশ খানিকটা সাদা বাকার্ডি রাম গিলেছেন সালমান। রক্ত পরীক্ষায় মিলেছে মাত্রা ছাড়ানো অ্যালকোহল। কাজেই এ প্রশ্নের জবাবে ‘কথা আর কাজ’ মেলাতে পারেননি সালমানের আইনজীবীরা।
৪. সালমানের ড্রাইভিং লাইসেন্স
লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি হাঁকাচ্ছিলেন সালমান। পরে ব্যাপারটা ধামাচাপা দিতে একখানা লাইসেন্স বানিয়েছিলেন বটে, কিন্তু সে লাইসেন্সের টাইমলাইন ২০০৪ সালের। ২০০২ সালের আগে তো আর নয়! আরটিও রেকর্ডের খতিয়ানও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যে, সে সময় সালমানের আদতে ড্রাইভিং লাইসেন্সই ছিল না!