নিপুণকে বয়কটের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল ১৯ সংগঠন?
অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার এফডিসিতে মিছিল করেছেন সাধারণ শিল্পীরা। শুধু তাই নয়, এই সময় তাঁকে বয়কট করার দাবিও জানান তাঁরা। তবে আলোচনা শেষে অভিনেত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন।
গতকাল এফডিসিতে নিপুণের ছবিতে জুতার মালা দিয়ে বানানো হয় ব্যানার। সেই ব্যানারে লেখা, ‘শিল্প ও শিল্পীর সম্মান নষ্টকারী নির্লজ্জ বেহায়া নিপুণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’। আয়োজনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সদস্যবৃন্দ। এ সময় শিল্পীরা নিপুণকে বয়কটের দাবি তোলাসহ তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এই মিছিলের সম্মুখভাবে দেখা গিয়েছে চলচ্চিত্রের অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের। মিছিল শেষে আলোচনাতেও বসেন এফডিসির ১৯টি সংগঠন। একইদিন বিকেলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের বৈঠকে তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত হবে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নিল ১৯ সংগঠন?
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৯ সংগঠনের এক নেতা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বুধবার বিকালে ১৯ সংগঠনের বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে নিপুণকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরে আবার সংগঠনের নেতারা আলোচনার মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা ও প্রযোজক ডিপজলের কাছে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান নিপুণ আক্তার। ফল ঘোষণার পর ডিপজলসহ সব বিজয়ী প্রার্থীকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করেন তিনি।
কিন্তু নির্বাচনের এক মাস যেতে না যেতেই গত ১৫ মে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে রিট করেন নিপুণ। সেখানে তিনি ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তোলেন। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট সেই রিটের শুনানিতে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে পরিচালক-প্রযোজক থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীও নিপুণের এই কাজের কঠোর সমালোচনা করেছেন।