কলা কেন খাবেন, কতটা খাবেন
আমরা সবাই জানি, কলা অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। আর আমাদের দেশে কলা সহজলভ্য খাবার। উচ্চ ক্যালোরি-সমৃদ্ধ ফলের অন্যতম কলা। কলায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে কলার পুষ্টিগুণ নিয়ে কথা বলেছেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান। তিনি বলেছেন, কলা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। কলার এই গুণের কারণে অ্যাথলেট বা যারা খেলাধুলা করে, তাদের ইনস্ট্যান্ট এনার্জির জন্য কলা খাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
নুসরাত জাহান বলেন, কম-ওজনের বাচ্চা যারা থাকে, তাদের চিকিৎসার অংশ হিসেবে কলা সাপ্লিমেন্ট ফুড দিয়ে থাকি। কলায় ভালো পরিমাণে আঁশ থাকে। এটা বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়ক এবং নানা রোগ থেকে মুক্তি দেয়। কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, তাই এটি এনিমিয়া ও ইউরাইটিসের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নুসরাত জাহান বলেন, কলায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি আমাদের শরীরের ইনফেকশন এজেন্টস এবং ক্ষতিকর অক্সিজেন-ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া কলায় প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যেটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষের সুরক্ষায় কাজ করে থাকে। তাজা কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। এ ছাড়া কলায় হাই-পটাশিয়াম ও লো-সোডিয়াম থাকায় এটি আমাদের মানবদেহের কোষের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং এগুলো আমাদের হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এ পুষ্টিবিদ আরো জানান, কলায় যে ডোপামিন রয়েছে, অর্থাৎ কলা খেলে আমাদের শরীরে যে হরমোন তৈরি হয়, তাকে আমরা ডোপামিন বলে থাকি। কলা খাওয়ার পর যেটি হয়, আমরা যদি কখনো বিষণ্ণ থাকি, এটা খেলে তা কাটিয়ে আমাদের মনমেজাজ ফুরফুরে হয়ে যায়। এ ছাড়া কলায় যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফেনোলিক রয়েছে, সেটি কিডনির ক্যানসারকে দূর করে থাকে।
কলা সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে, এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। তবে নুসরাত জাহান বলেন, কলায় আঁশ রয়েছে, তাই কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং বলা যায়, শিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তি পর্যন্ত আমরা সবাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে কলা খেতে পারি।