কোমরব্যথা ও মাসল স্পাজম এড়াতে করণীয় কী
শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই এখন কোমরব্যথার রোগী ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর জন্য অনেকাংশে আমাদের জীবন যাপন পদ্ধতি দায়ী। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, কোমরব্যথা এড়াতে একজন মানুষ কী কী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কোমরব্যথা ও এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে বলেছেন মার্কস মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে অর্থোপেডিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মারুফ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
এই যে হুট করে কোমরব্যথা হচ্ছে কিংবা আমরা বলছি যে একটি বয়সের পরে কোমরব্যথা হচ্ছে; কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগে থেকে সেই সতর্ক অবস্থানে থাকা যায় যে সামনে যাতে কোমরব্যথা না হয়, কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, রোগী যখন আমাদের চেম্বারে আসে, তখন আমরা কিছু ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন করে থাকি। যখন ব্যাক পেইনের হিস্ট্রি দিয়ে থাকে, আমরা অনেক পরীক্ষা করি। তার মধ্যে কিছু স্পেশাল পরীক্ষা আমরা করে থাকি, এসএলআর বা স্ট্রেইট লেগ রেইজ টেস্ট বলি, এটা সে কতটুকু পাচ্ছে। ক্রস এসএলআর করে থাকি আমরা, সোবার টেস্ট করে থাকি, অনেক স্পেশাল কিছু টেস্ট আছে। এগুলো দেখে আমরা মোটামুটি পেশেন্টকে ক্লিনিক্যালি ডায়াগনোসিস করে ফেলি যে তার কোন জায়গায়, কোন স্পেসে কী কারণে ব্যথাটা হতে পারে।
ডা. আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, আমরা কিছু রুটিন ইনভেস্টিগেশন করে থাকি। যেমন প্রথমে আমরা রোগীর কোমরের একটা এক্সরে করে থাকি। যদি পেশেন্ট বলে যে আমার কোমরব্যথা ছড়িয়ে যাচ্ছে, পা বা কোনও সাইডে ছড়িয়ে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় একটা এমআরআই পরীক্ষা করে থাকি। যদিও ব্যয়বহুল পরীক্ষা, সবাই করতে পারে না। এ ছাড়া কিছু রুটিন পরীক্ষা, যেমন তার ডায়াবেটিস আছে কি না, কিডনির কোনও সমস্যা আছে কি না, রুটিন পরীক্ষাগুলো আমরা জেনারেলি করে থাকি।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে মাসল স্পাজম। আমরা অনেক সময় দেখি, সকালে হয়তো ঘুম থেকে উঠেছে বা দিন বা রাতের যে কোনও সময় যেটা হয়ে থাকে অনেকের, সেটা হচ্ছে হুট করে মাসল টান দেয়। এর ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি কী কী। কারণ, এটি অনেকের অনেক সময় এটি হয়ে থাকছে। সে ক্ষেত্রে কেন হচ্ছে এবং এটি কোমরব্যথার সাথে রিলেটেড কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, মাসল স্পাজম হচ্ছে, ইয়াং এজ যারা, জব করেন বা লং টাইম বসে থাকেন, এদের মাসল স্পাজম হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। অথবা যারা একটু ভারী, তাদের মাসল স্পাজম বেশি পেয়ে থাকি। পেশেন্ট তো উপসর্গগুলো বলে থাকে, হুট করে... প্রাথমিক অবস্থায় স্পাজমের ব্যথাটা খুব তীব্র হয়। স্পাজম নিয়ে আমাদের কাছে তারা আসে, হয়তো কোনও ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে স্ট্রেইন, স্ট্রেইন থেকে স্পাজম হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা পেশেন্টকে যে অ্যাডভাইজ দিয়ে থাকি, অন্তত আপনি সাত থেকে ১৪ দিনের জন্য কমপ্লিট বেড রেস্টে যান। এটা বেটার। এটা আসলে অনেক পেশেন্ট নিতে পারে না। যারা জব করে, ছুটি পায় না।
মাসল স্পাজম সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।