গর্ভবতী মায়েরা কি রোজা রাখতে পারবেন
এখন চলছে পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় গর্ভবতী মায়েদের রোজা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে গর্ভবতী মায়ের রোজা সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে গর্ভবতী মায়ের রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হসপিটালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
রমজানের সময় দেখা যায় গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে চান, কিন্তু কিছুটা শঙ্কা থাকে—তাঁরা আসলেই রোজা রাখতে পারবেন কি না। রোজা রাখা তাঁদের জন্য কতটুকু নিরাপদ? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম বলেন, রোজা সব মুসলমানের জন্য ফরজ। আমার কাছে যখন রোগী এসে বলে, ম্যাডাম রাখব কি না। আমি বলি কি, আমি তোমাকে না করতে পারব না। এটা ম্যান্ডাটরি। আল্লাহ তায়ালার আমাদের ওপর অসীম রহমত, কোনও কোনও ক্ষেত্রে আল্লাহ কিন্তু মাফ করে দিয়েছেন; তার মধ্যে একটা হলো যে ট্রাভেলে থাকবে, ছেলে হোক মেয়ে হোক যে অসুস্থ, অন্তঃস্বত্ত্বা ও বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায়। কিন্তু রোজা রাখতে পারবে কারা কারা—যারা মনে করবে, আমি রোজা আছি, আমার ওপর এবং আমার বাচ্চার ওপর কোনও ইফেক্ট পড়বে না। তারা রোজা রাখতে পারবে। কিন্তু তারা যদি মনে করে, বিন্দুমাত্র বাচ্চার সমস্যা হচ্ছে, কিংবা আমার স্বাস্থ্যগত কোনও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, তাহলে কিন্তু রোজা রাখা ম্যান্ডাটরি না। কারণ, এটা পরবর্তীতে রাখার একটি বিধান আছে। আল্লাহ তায়ালা সেটি করে দিয়েছেন।
ডা. কোহিনুর বেগম আরও বলেন, রোজা রাখবে হেলদি মাদার এবং তারা যথেষ্ট খাওয়াদাওয়া করতে পারছে, সেহরির সময়, ফাস্টিংয়ের সময় তার বাচ্চার কোনও ইফেক্ট হয়নি, সে সমস্ত মায়েরা রোজা রাখতে পারবে। ফাস্টিং করার আগে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ, তার কোনও শারীরিক জটিলতা আছে কি না, সেগুলো চিহ্নিত হবে এবং তারপর বলা যাবে। কী জটিলতা হতে পারে—তার ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, কিডনির সমস্যা, ইউরিন ইনফেকশন—এ সমস্ত মায়েদের রোজা রাখা নিষেধ। যদি এ রকম কিছু না থাকে, তাহলে তারা রোজা রাখতে পারবে।
গর্ভবতী মায়ের রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।