বর্ষাকালে যে ছয় শাকসবজি খাবেন না
বর্ষাকাল আমাদের গরম থেকে মুক্তি দেয়। প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করে। তবে এ সময় জলবাহিত রোগ, ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ এবং হজম জনিতরোগের মাত্রা বেড়ে যায়। তার বর্ষাকালে, শাকসবজি নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দিন। কারণ এগুলো অনেক সময় আমাদের পাচনতন্ত্রের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে। বর্ষায় কিছু সবজি অবশ্যই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যা আপনার স্বাস্থ্যকে ভাল রাখবে।
সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, বাঁধাকপি এবং লেটুস পাতার মত শাকসবজি বর্ষাকালে সাবধানতার সাথে খাওয়া উচিত। আর্দ্র আবহাওয়ার ফলে এই সবজিগুলোতে অতিরিক্ত আর্দ্রতা সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো ব্যাকটিরিয়া এবং জীবাণুগুলোর জন্য অনুকূল প্রজনন ক্ষেত্র। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ এবং হজম জনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।
ফুলকপি
ফুলকপি, ব্রোকলি এবং স্প্রাউটের মতো শাকসবজি বর্ষাকালে অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। সম্ভব হলে এড়িয়ে যাওয়া ভাল। এগুলোতে আর্দ্রতা আটকে থাকতে পারে। পরে তা ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
মূলজাতীয় সবজি
গাজর, মূলা এবং শালগমের মতো মূলজাতীয় শাকসবজি সাধারণত বর্ষাকালে খাওয়া নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এ সময় মাটিতে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে, এসব সবজিগুলো আরও বেশি পানি শোষণ করে। তাই এগুলো পরিমিতভাবে গ্রহণ করা উচিত। খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালমত ধুয়ে নিন।
ধনিয়া এবং পুদিনাপাতা
ধনিয়া এবং পুদিনাপাতা সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। তবে বর্ষাকালে এগুলো খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করুন। এগুলো মাটিতে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে এগুলোর মাঝে মাটি-বাহিত ব্যাকটিরিয়া এবং পোকামাকড় দেখা যায়। তাই এ সব খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া ভাল।
মাশরুম
আর্দ্র পরিস্থিতিতে মাশরুমে ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধির প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই যাদের হজম জনিত সমস্যা আছে তারা মাশরুম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বর্ষাকালে এটি খেলে স্বাস্থ্য সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
মটরশুঁটি ও ভুট্টা
মটরশুঁটি এবং ভুট্টা বর্ষাকালে অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। তবে চেষ্টা করুন এ সব থেকে বিরত থাকতে। কারণ এগুলো ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে ওঠতে পারে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই এগুলো ভালভাবে রান্না করে নিন।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া