গেঁটেবাত হলে কী খাবেন, কী খাবেন না
গাউট হলো আর্থাইটিসের একটি প্রকার। গাউট চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক পুরোনো একটি রোগ। এটিকে বাংলায় গেঁটেবাত বলা হয়। বয়স্কদের মধ্যে বেশি গাউট দেখা দেয়। নারীর চাইতে পুরুষের গাউট বেশি পরিলক্ষিত হয়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে গেঁটেবাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নাজিয়া আহমেদ। তিনি বলেন, যদি মেটাবলিজমের বিশৃঙ্খলা হয়, বিশেষ করে পিউরিন-রিলেটেড মেটাবলিজম, সেটা যখন আমাদের শরীরে বাধার সম্মুখীন হয়, তখনই গাউট তৈরি হয়। গাউট হলে হাঁটু ফুলে যায়, গিরাগুলো ফুলে যায়, পা ও হাতের আঙুল ফুলে যায়; সাথে জ্বরও থাকতে পারে।
পুষ্টিবিদ নাজিয়া আহমেদের পরামর্শ, এ সমস্যায় ভুগলে পিউরিন-জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। পিউরিন-জাতীয় খাবার হচ্ছে চর্বিযুক্ত খাবার, যেমন—রেড মিট গরু, খাসির কলিজা, ফুসফুস; এ ছাড়া সামুদ্রিক কিছু মাছ রয়েছে, যেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তিনি বলেন, গেঁটেবাত হলে কিরিকিরি-জাতীয় যত সবজি আছে, যেমন—ফুলকপি, বাঁধাকপি, কখনো ব্রকলি, লেটুস পাতা, পালং শাক এ সময় অবশ্যই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আর্থাইটিসের জন্য এ খাবার খাওয়া যাবে না। যে খাবারগুলো খেতে পারবেন, সেগুলো হলো—সীমিত পরিমাণ মাছ খাওয়া যেতে পারে, মুরগির মাংস অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে, সবজির মধ্যে শসা, টমেটো, গাজর, বিট, মূলা, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া ইত্যাদি খেতে পারবেন। ফলের মধ্যে বেরি-জাতীয় ফল, যেমন—স্ট্রবেরি খাওয়া যেতে পারে। সবুজ আপেলও ভালো কাজ করে আর্থাইটিসের জন্য।
পুষ্টিবিদ নাজিয়া আহমেদ বলেন, ভিটামিন ডি আর্থাইটিসে খুব ভালো কাজ করে। ভিটামিন ডি বলতে সূর্যের আলো আছে; পাশাপাশি যেটা করা যেতে পারে, টকজাতীয় ফল বা সাইট্রিক ফ্রুট থেকেও কিন্তু ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যেমন—লেবু, এটি ভিটামিন সি-র ভালো উৎস। এতে ভিটামিন ডি-ও পাওয়া সম্ভব। কমলালেবু যদি অনেক ক্ষণ ম্যাসাজ করা যায়, তবে একটি উপাদান বের হয়, বিশেষ করে খোসা; খোসা থেকে যখন ওই উপাদানটা আমরা খাব, তখন আমরা ওখান থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারি।