চা কেন খাবেন, কতবার খাবেন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় চা। চা পান শুধু অভ্যাসই নয়, এটি শরীরের জন্য উপকারীও। এর বিভিন্ন প্রকার আছে এবং পুষ্টিগুণও অনেক। চলুন, আজ জেনে নিই, চা কেন খাবেন এবং কতবার পান করবেন।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে চায়ের পুষ্টিগুণ নিয়ে কথা বলেছেন একজন পুষ্টিবিদ। তিনি বলেন, চায়ে আছে মূল্যবান প্রাকৃতিক উপাদান ফ্লুরাইড, যা আমাদের শরীরকে তাজা রাখতে সাহায্য করে এবং এটি হাড়ের গঠনের পাশাপাশি দন্তক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে।
গবেষণায় জানা গেছে, আমরা যদি প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ কাপ অর্থাৎ ১২০ এমএল চা পান করি, তা থেকে আমরা ফ্লুইড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়ার পাশাপাশি আরো পাব ভিটামিন ও মিনারেলস। রং চায়ের ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ এবং স্নায়বিক বার্তা পরিবহণ; এ ছাড়া আমাদের রক্ত জমাট বাঁধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। র টি থিকে আমরা পটাশিয়াম পাই, যা আমাদের শরীরে পানিসাম্য বজায় রাখে।
তিনি আরো বলেন, চায়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রাইবোফ্লাবিন ও থায়ামিন পাওয়া যায়। এবং আরো ভিটামিন বি৬, বি১২, ফলিক অ্যাসিড এবং রাইসিন পাওয়া যায় র টি থেকে। হিমোগ্লোবিন এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য র টি-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
গ্রিন টি আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে এবং শরীরের টক্সিসিটি দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি লেমন টিও আমাদের ওজন কমানোর কাজে সাহায্য করে। মিল্ক টির মধ্যে ক্যাফেইন নষ্ট হওয়ার কারণে তা শরীরে গ্যাসের উদ্রেক করে। তাই যাঁরা অনেক দিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং আইবিএসের প্রবলেমে ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই মিল্ক টি পরিহার করবেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড পেশার এবং ব্লাড কোলেস্টেরলের রোগীরা নিশ্চিতে প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ র টি গ্রহণ করতে পারবেন।