পুরুষের বন্ধ্যত্বে কী কী কারণ দায়ী
শুধু নারী নয়, অনেক পুরুষ বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু লজ্জা বা সামাজিক কারণে অনেক পুরুষ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় না। আবার পুরুষ যে সন্তান ধারণে অক্ষম হতে পারে, এটাও অনেকে মানতে চায় না। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, পুরুষের বন্ধ্যত্বে কী কী কারণ দায়ী।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে পুরুষের বন্ধ্যত্ব সমস্যা ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জান্নাত আরা ফেরদৌস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
পুরুষের বন্ধ্যত্বে কী কী কারণ দায়ী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, একটা খুব সাধারণ কারণ, কিন্তু তার রেজাল্টটা খুব খারাপ। সেটা হচ্ছে, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। যেমন একজন বিজনেসম্যান, দেখা যায় তার সবকিছুই আছে, কিন্তু এত স্ট্রেসে থাকে, টেনশনে থাকে; কিংবা আপনি লো-ক্লাসে যান না কেন, যারা গার্মেন্টসে কাজ করে বা অন্যরা, তাদেরও অনেক স্ট্রেস যায়, ফিজিক্যাল স্ট্রেস অনেক বেশি যায়। কাজ করে রাতে ১০-১১টায় আসে, আবার সকালে উঠে তাকে দৌড়াতে হবে। সুতরাং তার কিন্তু অনেক স্ট্রেস থাকে। এ ক্ষেত্রে তার সিমেন কোয়ালিটি অনেক খারাপ থাকে। আবার দেখা যায়, যারা স্মোকিং করে, তাদেরও সিমেন কোয়ালিটি বেশ খারাপ থাকে। সিমেনের কাউন্ট ভালো আছে, কিন্তু তার মরটালিটি নেই। মানে নড়াচড়াটা খুব কম থাকে।
ডা. জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, কারও কারও আরও খারাপ অভ্যাস থাকতে পারে। কেউ কেউ হয়তো ড্রাগ অ্যাডিক্টেড। এগুলোতে খুব বেশি প্রবলেম করে। আর আপনি যে রোগের কথা বললেন, ছোটবেলায় যদি কোনও ছেলে বাচ্চার মাম্পস হয়, মাম্পস কিন্তু ছেলে বাচ্চার জন্য খুব মারাত্মক জিনিস। তার অর্কাইটিস হয়, মানে অণ্ডকোষগুলোতে ইনফেকশন হয়, ইনফেকটেড হয়ে ভেতরে যেখান থেকে সিমেন তৈরি হয়, সে টিউবগুলোকে সে ড্যামেজ করে দেয়। সে দেখছে পারফর্ম করতে পারছে, সিমেনটা আসছে, কিন্তু শূককীট নেই। শূককীট তৈরি হচ্ছে না।
তিনি কি সেটা বুঝতে পারবেন না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, না, তিনি বুঝতে পারবেন না। এটাই তো প্রবলেম। এটাই তো আমরা হাজব্যান্ডকে কাউন্সেলিং করি। বলে, না আমার তো সব ঠিক আছে, আমি থাকছি, কোনও প্রবলেম নেই, আপনি আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করেন, তার তো কোনও অসুবিধা নেই, তাহলে আমি কেন টেস্ট করব? সেজন্য তাকে আমরা এভাবে কাউন্সেলিং করি, আপনি তো জানেনই না ভেতরে কী আছে। তো টেস্ট না করলে বোঝা যায় না। আরেকটা হচ্ছে, অনেকে ডায়াবেটিস থাকে, সেটা অনিয়ন্ত্রিত থাকে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু তার সিমেনের কোয়ালিটি, কাউন্ট ও মরটালিটি খারাপ হতে পারে। থাইরয়েড কিন্তু আজকাল বড় প্রবলেম। আগে কিন্তু এত বেশি থাইরয়েডের প্রবলেম ছিল না। এর জন্য পরিবেশগত কারণও দায়ী।
পুরুষের বন্ধ্যত্ব সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।