রমজানে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে
সিয়াম সাধনার এ মাসে সারা দিন রোজা রাখতে হয়। আর রোজা রাখার পর ইফতারের সময় ভাজা পোড়া ও কার্বোহাড্রেট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। যা আমাদের দেহের ওজনকে বাড়িয়ে দেয়। তাই আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে জানব, রমজানে ওজন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি অনুষ্ঠানে রমজানে ওজন কমানোর উপায় নিয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অবস্ এন্ড গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বেনজীর হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সারমিন জাহান নিটোল।
রমজানে রোজা রাখছি কিন্তু ওজন বেড়ে যাচ্ছে। তাই রমজানে ওজন কমানোর সুযোগ রয়েছে কিনা, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. বেনজির হক জানান, প্রতিটি মানুষের একটি বডি মাস ইডেস্ক (বিএমআই) আছে। সে অনুযায়ী তার খাদ্য তালিকা নির্ধারিত হয়।
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে ৫০% প্রোটিন থাকতে হবে। ৩০% কার্বোহাইড্রেট ও ২০ % ফ্যাট থাকতে হবে। এ ছাড়া ভিটামিন ও মিনারেল এর সঙ্গে পানির পরিমাণ তো আছে।
রমজানে আনেক সময় দেখা যাচ্ছে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করছি এবং এর সঙ্গে একসাথে অনেক কিছু খাওয়ার চেষ্টা করছি। তখন ক্যালরির বিবেচনা করা হয়না। তখন আরও বেশি খাওয়া ইচ্ছা তৈরি হয় ।
ইফতার থেকে সেহরি খাওয়ার সময় খুবই অল্প। তাই এসময় অধিকাংশ মানুষ কার্বোহাইড্রেটের ওপর জোর দিয়ে থাকে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার (ভাত, পটেটো, চিনিসহ ইত্যাদি) ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে দিয়ে যেসব খাবার আমাদের দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন প্রোটিন জাতীয় খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, তাজা ফলের রসসহ ইত্যাদি) দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই ওজন বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।
ওজন কমানোর মাধ্যমে অনেকগুলো রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে উপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।