রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না?
ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে ঘুমের সমস্যার কারণ ও এতে খাবারের গুরুত্ব সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি। তিনি বলেন, বেশ কিছু কারণে ইনসমনিয়া হয়। যেমন—অতিরিক্ত মেডিসিন খেলে, সারা দিন মোবাইল ফোন নিয়ে থাকলে, অনেক বেশি স্ট্রেস নিলে, অনেক বেশি টেনশন করলে ঘুমের সমস্যা হয়। অনেক সময় পুষ্টিকর খাবারের অভাবেও ঘুম কম হয়। যদি আপনি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া না করেন, সে ক্ষেত্রে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। গ্রিন টি কিন্তু অনেক সময় ঘুমকে নষ্ট করে, বা ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার বেশি করে ইনটেক করলে, বিশেষ করে যাঁরা খুব বেশি কফি খেতে পছন্দ করেন, তাঁদেরও কিন্তু ঘুমের সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে ক্যাফেইন-জাতীয় এবং গ্রিন টি এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের চা খাওয়ার খুব অভ্যাস আছে, আপনারা চেষ্টা করবেন বিকেলের মধ্যে চা খেয়ে নিতে।
রুবাইয়া পারভীন রীতি বলেন, অনেক সময় ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে ঘুম কম হয়। সে ক্ষেত্রে ম্যাগনেশিয়ামের উৎস হিসেবে কাঠবাদামকে বেছে নিতে পারেন, আখরোটকে বেছে নিতে পারেন। আখরোট মস্তিষ্ককে অনেক ঠাণ্ডা করে। রাতে কখনওই না খেয়ে ঘুমানো যাবে না। আপনি যখনই রাতের বেলা না খেয়ে ঘুমাবেন, আপনার পেট খালি থাকবে। সে কারণে আপনার ঘুমটা হবে না, মেজাজ খিটখিটে থাকবে এবং অনেক ধরনের সমস্যা হবে। তো সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারগুলো সিলেক্ট করতে হবে। পাশাপাশি যেটা বলব, টকজাতীয় ফল ঘুমের জন্য অনেক ভালো কাজ করে। সাদা ভাত ভালো কাজ করে, আলুর পাশাপাশি দুধ; আপনি যদি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খান, এটি আপনার ঘুমের জন্য ভালো কাজ করবে। টক দই যেমন স্কিনকে ভালো রাখে, ঘুমের জন্যও ভালো এবং যেকোনো লিকুইড খাবার ঘুমের জন্য ভালো কাজ করে। ওটমিল ঘুমের জন্য অনেক ভালো উপকারী। অনেকে আছেন ভাতটা স্কিপ করেন ডায়েট করতে গিয়ে; সে ক্ষেত্রে একটা টাইমে গিয়ে ঘুমের সমস্যা হয়। ভারী খাবার, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, কার্বোনেটেড বেভারেজ অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন এবং ঘুমটাও ভালো হবে।