সতর্ক না হলে থাইরয়েড রোগীরা যেসব সমস্যায় পড়বে
অনেকে থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনজনিত নানান সমস্যায় ভুগছেন। থাইরয়েড হরমোন অনেক বেড়ে যেতে পারে। আবার থাইরয়েড হরমোন কমে যেতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, ডাক্তারের শরণাপন্ন না হলে পরবর্তী সময়ে থাইরয়েড রোগীরা কী কী জটিলতায় ভুগতে পারেন।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে থাইরয়েড ও হরমোনজনিত সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এম এ হালিম খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
থাইরয়েড সমস্যা যাঁদের রয়েছে, পরবর্তীতে সময়ে যাঁরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন না বা ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি গ্রহণ করছেন না, তাঁরা আসলে কী কী জটিলতা সম্মুখীন হতে পারেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ হালিম খান বলেন, অনেক জটিলতা হতে পারে। ওজন অনেক বেড়ে যেতে পারে। হাইপোথাইরয়েড যদি থাকে, তাহলে হার্টের যে পেরিকার্ডিয়াম আছে, সেখানে পানি জমতে পারে। ফুসফুসে পানি চলে আসতে পারে। দেখা যাবে যে কারও কারও বাচ্চা হচ্ছে না। পিরিয়ড হয়তো এমনভাবে হচ্ছে, অনেক বেশি ব্লিডিং হচ্ছে, রক্তক্ষরণের জন্য তাঁর এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এ রকম নানাবিধ জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডা. এম এ হালিম খান বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতীত কোনও ভাবেই ওষুধ বন্ধ করা ঠিক হবে না। আরেকটা জিনিস হলো, আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থি যতটুকু হরমোন প্রডাক্টশন করার কথা, ততটুকু করতে পারে না। বাইরে থেকে আমরা সাপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকি। তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা রিপ্লেসমেন্ট দেব, আমাদের শরীর ভালো থাকবে, টিস্যুগুলো ভালো কাজ করতে পারবে। যখনই আমরা বন্ধ করে দেব, টিস্যুর যে নরমাল একটিভিটি, সেটা বাধাগ্রস্ত হবে।
থাইরয়েড প্রোফাইলের যে বিষয়টি, সেটি কত দিন পরপর পরীক্ষা করতে হবে। যাঁরা ওষুধ সেবন করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কত দিন পরপর পরীক্ষা করতে হবে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ হালিম খান বলেন, এটি আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের ওপর। যেমন ধরেন প্রেগন্যান্সি আছে কারও, প্রেগন্যান্সিতে প্রতি মাসে থাইরয়েড প্রোফাইল করতে হয়। কারও হয়তো ওষুধের পরিবর্তন করতে হয়েছে, ওষুধের ডোজের পরিবর্তন করতে হয়েছে, তাঁর কিন্তু দুই মাস পর আবার টেস্ট করতে হবে। কিন্তু যাঁর ডোজের কোনও পরিবর্তন করতে হয় না, তাঁর ছয় মাস থেকে এক বছর পর পরীক্ষা করলেই হবে। কিন্তু ঢালাওভাবে এটি বিশ্বাস করলে হবে না যে ডাক্তার বলেছে এক বছল পর পর টেস্ট করলেই হবে।
থাইরয়েড প্রোফাইল টেস্ট কত দিন পরপর করা উচিত, এ সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।