৩০ বছরের কম বয়সে প্রেশার বাড়ার কারণ কী
অনেকে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
ইনসুলিনের ঘাটতি হলে কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, ইনসুলিন একটি হরমোন। যদি আমরা দুটো জীবন রক্ষাকারী হরমোনের কথা বলি, একটা হচ্ছে কডিসিল হরমোন, আরেকটি ইনসুলিন। যদি কোনও কারণে ইনসুলিন তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায় অথবা ইনসুলিন যেখান থেকে তৈরি হয়, সেটাকে কেটে ফেলেন, তাহলে দুই থেকে তিন দিনের বেশি একজন মানুষ বাঁচতে পারবে না।
ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, ইনসুলিন একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ অথবা হরমোন, যেটার অভাবে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে। সুগার বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিসের বিষক্রিয়া দেখা দিয়ে মৃত্যু হতে পারে। সুতরাং ইনসুলিন একটি জীবন রক্ষাকারী হরমোন।
প্রেশার কমবেশি হওয়ার সাথে এটার কোনও সম্পর্ক আছে কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমরা যখন অল্প বয়সে ছেলেমেয়েদের যখন দেখি প্রেশার হয়ে গেছে, যেমন ৩০ বছরের কম বয়সে প্রেশার হওয়ার কথা না। যখন ৩০ বছরের কম বয়সে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়, তখন আমরা সন্দেহ করি, সাধারণভাবে যে প্রেশার হয়ে থাকে, যেটাকে আমরা এসেনসিয়াল হাইপারটেনশন বলে থাকি, যেটার বিশেষ কোনও কারণ থাকে না, কিন্তু অল্প বয়সে প্রেশার হলে আমরা সব সময় বলে থাকি, নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনও হরমোনজনিত কারণ রয়েছে।
হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।