পাঁচ বছরের আগে শিশুর চোখ পরীক্ষা করান

ছোট্ট শিশুর চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এগুলো প্রতিকারে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে চোখ পরীক্ষা করা জরুরি। এ সময়ে চোখের চিকিৎসা করলে ভবিষ্যতের অনেক মারাত্মক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৯৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. মাহবুব রহমান শাহীন। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেলের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুর চোখে সমস্যা বোঝার উপায় কী?
উত্তর : এটা বোঝার উপায় হলো প্রত্যেক শিশুকে স্কুলে যখন ভর্তি হবে, ক্লাস ওয়ানে, ছয় বছরের আগে পাঁচ বছরের আগে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করতে হবে। এই পরীক্ষা করতে এক থেকে দুই মিনিট সময় লাগে।
এটা মা-বাবার দায়িত্ব। বাইরের অনেক দেশে দেখা যায়, আই টেস্ট (চোখের পরীক্ষা) ছাড়া কোনো বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করে না। এটা বাধ্যতামূলক। এটা আমাদের সরকার সহজেই করতে পারে। স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হতে হলে ওই বাচ্চাকে অবশ্যই চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে তার দৃষ্টি পরীক্ষা করে আসতে হবে। তাহলে তার যদি দৃষ্টিশক্তির কোনো সমস্যা থাকে, সেটি ধরা পড়বে। সেটা ঠিক হয়ে যাবে এবং সারা জীবনের জন্য সে ভালো থাকবে। অনেক সময় দেখা যায় শিশুর এক চোখ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ট্যারা চোখের সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করব, প্রত্যেক শিশুকে পাঁচ-ছয় বছর বয়সে অবশ্যই তার দৃষ্টি পরীক্ষা করানো উচিত।
আর আমরা যাঁরা একটু বয়স্ক হয়েছি, যাঁদের বয়স চল্লিশ, তাঁদের প্রত্যেককেই চোখ পরীক্ষা করা উচিত। কয়েকটি জিনিস দেখার জন্য। একটি হলো গ্লুকোমা তার আছে কি না। এরপর তার প্রেস বায়োপিক কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। যদি ডায়াবেটিস থাকে, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কোনো সমস্যা হয়েছে কি না। এই স্ক্রিনিংগুলো খুব জরুরি।