হাড়ের জন্মগত ত্রুটি সারিয়ে তুলতে কী করবেন?

শিশুদের হাড়ে জন্মগত ত্রুটি দূর করতে জন্মের পরপরই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬২৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মনোয়ারুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল অর্থোপেডিকস সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হাড়ের জন্মগত ত্রুটি সারিয়ে তোলার চিকিৎসা কী?
উত্তর : ক্লাব ফুটের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাচ্চাটির পা বাঁকা। আমাদের চিকিৎসার যে পদ্ধতি আছে, সেটি যদি আমরা প্রথম থেকে শুরু করি, তাহলে দেখা যাবে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে বাচ্চা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। আর কোটির বিষয়টি যদি আমরা প্রথম দিনই ধরতে পারি এবং বড় ধরনের সার্জারি ছাড়া বিভিন্ন ম্যানুপুলেশন, এর পর তাকে প্লাস্টার করে রাখা, এগুলো করলে দেখা যায় যে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
প্রশ্ন : উন্নত বিশ্বে যেসব চিকিৎসা হয়, সেগুলো কি এখানে করে থাকেন? বা রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এখানে কোনো কাজ করে কী?
উত্তর : সাধারণত রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করা হয় না। যদি পৃষ্ঠদেশের জয়েন্ট দুটোই ছুটে যায়, এই শিশুরা যদি তিন থেকে চার বছরের মধ্যে আসে, তখন আমরা চরম বিপদে পড়ি। তখন আমরা সেই বাচ্চাকে সেভাবেই রাখি। সে যখন পরিপক্ব হবে, ১২ বছরের পর, তখন আমরা ওই গাঁটকে রিপ্লেসমেন্ট করব। তবে কখনোই এটি আর ১০টি স্বাভাবিক বাচ্চার মতো হবে না।
প্রশ্ন : ক্লাব ফুটের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার পর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আর কোনো পরামর্শ আছে কী?
উত্তর : এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বাঁকা পা সোজা হয়ে যায়। তবে সমস্যাটি আবার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সুতরাং ছয় বছর বয়স পর্যন্ত ফলোআপে আসবে।