বিষণ্ণতা থেকে বেরোতে হলে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/07/photo-1491569575.jpg)
বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে সমস্যা চিহ্নিত করে কথা বলা প্রয়োজন। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭০১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. মোজাহেরুল হক। তিনি দীর্ঘদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রশ্ন : আমাদের সমাজে বিষণ্ণতার জন্য প্রকটভাবে কোন কারণগুলো বিরাজ করছে? সেটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কী করা যেতে পারে?
উত্তর : আগে আমাদের মত-ভাব প্রকাশ করার অনেক বেশি সুযোগ ছিল। আমাদের দেশে এখন আমরা যেসব দেখছি এবং পত্রিকাতেও প্রকাশ পাচ্ছে, এগুলোর মধ্যে কিন্তু আমাদের ভাব প্রকাশ, মতপ্রকাশের সীমাবদ্ধতা দিন দিন বাড়ছে। কদিন আগেও দেখেছি ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার কথা। এই যে এই ধরনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যদি সমাজে না থাকে, এটা যদি না থাকে, তাহলে সমস্যা। আজকাল দেখেন খেলাধুলা করার জন্য কোনো মাঠ নেই, পার্ক নেই, বিনোদনের সুযোগ নেই। এই যে আমরা কতগুলো জিনিস দেখছি, কিছু কিছু স্বাধীনতা তাদের ছিল এবং যেটি নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকত, সেই জিনিসগুলো যখন থাকবে না, তখন যে আমাদের তরুণ বা যুবকরা আছে, তাদের মধ্যে একটি হতাশা আসবে। এই হতাশা থেকে যেটি আসে সেটিই বিষণ্ণতা। আমাদের এই সমাজকে হতাশামুক্ত করতে হবে। এর জন্য যা করণীয় এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
প্রশ্ন : প্রতিটি পর্যায়ে আমরা এই বিষয়ে কী কী ভূমিকা রাখতে পারি।
উত্তর : কোনো কোনো পরিবারে দেখা যায় বাবা-মা দুজনেই কর্মজীবী। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মা-বাবার সঙ্গে আগে যে বন্ডেজ ছিল, সেটি থেকে বেরিয়ে আসছে। এই সমস্ত কারণে শিশুরা মা-বাবার যে সান্নিধ্য পেত, সেটি তারা পাচ্ছে না। এর কারণে স্নেহ, মায়া, মমতা যে জিনিসগুলো তাদের থাকার দরকার ছিল সেটি পাচ্ছে না। ছোটবেলা থেকে দেখা যাচ্ছে সমাজের সঙ্গে একটি ডিটাচমেন্ট হচ্ছে। এর থেকে একটি হতাশার জন্ম নিতে পারে পরিবারে। এখানে তার মা-বাবাকে সন্তানের প্রতি যে দায়িত্ব কর্তব্য সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তেমনিভাবে আত্মীয়তার বন্ধনে বা সামাজিক বন্ধনে যারা আছি সেই জায়গাতে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে হবে। তাদের প্রতি যে আমাদের দায়িত্ব আছে সেটা পালন করার জন্য আমাদেরও সচেষ্ট থাকতে হবে।