সোশ্যাল ফোবিয়ায় কী ধরনের সমস্যা হয়?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/21/photo-1492769361.jpg)
সোশ্যাল ফোবিয়ায় একজন ব্যক্তির সামাজিক পরিবেশে মিশতে ভয় হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭১৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন কামরুজ্জামান মজুমদার। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সে নিজে কি কখনো বুঝতে পারে তার এই সমস্যাটি হচ্ছে?
উত্তর : তার যে কী কষ্ট সেটি কেবল সেই বোঝে। তার পরিবারের লোকেরা হয়তো বলে ‘গেলে কী হয়? আমরা যাচ্ছি, তুই চল’। তার সমস্যাটি কেউ ধরতে পারে না। তারা ভাবে যে সে বেশি বেশি করছে। কিন্তু তার তো শখ হয়নি এটি করতে। তাকে যদি একটু সাহায্য করা যায়, অনেক ক্ষেত্রে সোশ্যাল ফোবিয়া ব্যক্তি নিজে নিজে সমাধান করতে পারে।
মূল বিষয়টি কী? মূল হলো যখন সে সামাজিক পরিবেশে যায়, সে ভয়ের কারণে অস্বস্তিবোধ করতে থাকে। তার শারীরিক কিছু প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। হাত-পা কাঁপতে থাকে। যেহেতু সে মনের দুশ্চিন্তার কারণে ভয় পাচ্ছে। দেখা যায় সে যা করতে চায়, সেটি ঠিকমতো করতে পারে না। তার ভয় বাড়তে থাকে। সে এড়িয়ে চলে। যখন আমরা কোনো কিছুতে ভয় করি, ভাবছি ওখানে গেলে কিছু হবে, তখন ভয় পাই। এড়িয়ে যাই। তবে যখন ওখানে গিয়ে দেখি কোনো ক্ষতি নেই, তখন ভয় কেটে যায়। তাই এড়িয়ে গেলে কিন্তু ভয় কাটে না।
নিয়ম হলো, যে বিষয়টি তার জন্য খুব ভয়ঙ্কর সেখানে প্রথমে না গিয়ে অল্প অল্পভাবে শুরু করা। যেমন হয়তো অনেক লোক আছে এমন জায়গায় আমি প্রথমে না গিয়ে একজন দুজন যেখানে আছে সেখানে গিয়ে কথা বলা শুরু করি। অল্প অল্প করে মেশার পরিমাণ বাড়াতে পারি। প্রথমে পরিচিতদের সঙ্গে অল্প অল্প কথা বলা, এরপর একটু অপরিচিতদের সঙ্গে। এভাবে কিন্তু করতে থাকলে আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সোশ্যাল ফোবিয়া অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু নিজে নিজেই সেরে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে সারে না। তবে খুব দ্রুত চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার। তাহলে তাঁরা সাহায্য করতে পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে অল্প মাত্রার কিছু ওষুধ আছে, সেগুলো খেলে কিন্তু সে ভালো বোধ করে এবং সমস্যা নিজে নিজেই সারিয়ে ফেলতে পারে।