দুর্ঘটনা-পরবর্তী মানসিক চাপ : মন খুলে কথা বলতে দিন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/05/07/photo-1494147920.jpg)
পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা দুর্ঘটনা-পরবর্তী মানসিক চাপের কারণে অনেকেই বেশ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এই সমস্যা কমাতে তার আশপাশের মানুষকে তাকে মন খুলে কথা বলতে দেওয়া প্রয়োজন।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৩১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট কামরুজ্জামান মজুমদার। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এ অবস্থা দূর করতে কী করণীয়? বা তার আশপাশের মানুষ কী করতে পারেন যখন রোগীর এ অবস্থা হচ্ছে?
উত্তর : আসলে তার জন্য যা করা দরকার, তার আশপাশের মানুষ সেটি খুব বেশি এটি করতে পারেন না। কারণ, তারা পদ্ধতিটা বোঝে না। বোঝাটা সহজও না। তবে তারা সাহায্য করতে পারেন। যেমন ধরেন, আমার জীবনে একটি ট্রমাটিক ঘটনা ঘটল। যদি আমি মন খুলে কথা বলতে পারি এটি নিয়ে, কেউ যদি আমাকে সহায়তা করে, তখন এই পিটিএসডি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। বারবার কথা বলা, মন খুলে কথা বলতে সাহায্য করা। চাপাচাপি করা নয়, কেবল তাকে কথা বলতে সাহায্য করা। তাহলে পিটিএসডির আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
যদি এমন হয় যে ব্যক্তি কারো সঙ্গে কথাই বলতে পারল না, মনের মধ্যে বসে গেল ব্যাপারটা, এটা অনেক দিন পরও তার মধ্যে ঘুরতে থাকে। আমরা একটি গবেষণায় দেখেছি, ২০০৪-০৫ সালের দিকে করা, আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা যেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ২০০৫ সালে এসেও ওই ট্রমাটা ছিল। এর তীব্রতাটা হয়তো কমে গেছে, তবে কষ্টটা কিন্তু তাদের কমেনি। রাতে বেলা ঘুমাচ্ছে। হঠাৎ জেগে উঠছে, হঠাৎ সেই ছবিগুলো মনের মধ্যে ভাসছে। খুবই কষ্টকর এটি।