ঈদ ভ্রমণে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
ঈদ মানে খুশি আর আনন্দ। ঈদের খুশিতে ঘরমুখো মানুষ নাড়ির টানে ফিরবেন বাড়িতে। দীর্ঘ ভ্রমণে যানবাহনে কাটাতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। ঈদের আনন্দটাই তখন মাটি হয়ে যায়। তবে সামান্য স্বাস্থ্য সচেতন হলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তাই ঈদ ভ্রমণে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ভ্রমণে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে
• বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, মাথা ধরা প্রভৃতি এ সময় দেখা দিতে পারে।
• পানিশূন্যতা হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ার সমস্যা হতে পারে।
• ভ্রমণে বাইরের খাবার খেয়ে পেটে গ্যাস, বুক জ্বালা করা, এমনকি ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
• ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত বাতাসে শিশুর জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দীর্ঘ ভ্রমণে পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা হয়।
ভ্রমণের সময় যা করবেন
* ভ্রমণের সময় সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি রাখুন। বাইরের পানি পান করবেন না।
* বাসায় বানানো পুষ্টিকর খাবার সঙ্গে রাখুন। দোকানের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে খাদ্যে বিষক্রিয়াসহ পেটের নানা ধরনের পীড়া থেকে রক্ষা পাবেন।
* অপরিচিত কোনো লোকের দেওয়া পানি, খাবার খাবেন না।
* শিশুরা যেহেতু ঠান্ডা, কাশি, অ্যালার্জিতে বেশি ভোগে, তাই জানালার পাশে অথবা সরাসরি বাতাসের ঝাপটা লাগে এমন স্থানে বসতে দেবেন না। এতে শিশু ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা থেকে রক্ষা পাবে।
* দীর্ঘ ভ্রমণে পায়ে রক্ত চলাচল ঠিক রাখার জন্য মাঝেমধ্যে পা নড়াচড়া করুন; আসন থেকে উঠে দাঁড়ান।
* ভ্রমণে সব সময় হালকা রং, আরামদায়ক ও সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরুন।
* গর্ভবতী নারীরা ভ্রমণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলে ভ্রমণে বিরত থাকুন।
* ভ্রমণের সময় শিশু ও প্রবীণদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন।
* যাদের ভ্রমণজনিত বমি হয়, তারা ভ্রমণের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে বমির ওষুধ খেয়ে নিন। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সব ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।